নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবাধে লোকজন ভেতরে ঢুকছে এবং বাইরে বের হচ্ছে চট্টগ্রামের প্রথম রেডজোন হিসেবে পরীক্ষামূলকভাবে লকডাউনে থাকা ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে। লকডাউন চলাকালে কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠান চালু রাখার অভিযোগ তুলেছেন খোদ সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
মেয়র নাছির বলেন, ‘শ্রমিকদের কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত ও বেতনবঞ্চিত করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এতে চাপে থাকা শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে কাজে যোগদান করছেন।’
মেয়র বলেন, ‘শিল্পপ্রতিষ্ঠান মালিকরা আমাদের বলছেন এক কথা, আর বাস্তবে করছেন উল্টোটা। তারা লকডাউনে লুকোচুরি খেলছেন। এটি বন্ধ করা হবে।’
গতকাল লকডাউন কার্যকরের চতুর্থ দিনে উত্তর কাট্টলী এলাকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন। এ সময় মেয়র বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে ঘোরাঘুরি করা এলাকাবাসীকে করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক নির্দেশনা দেন। এ সময় মেয়র এলাকায় লকডাউন শতভাগ বাস্তবায়ন না হওয়ার জন্য অপরাজনীতিকেও দায়ী করেন।
মেয়র বলেন, উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড এলাকার ছয় হাজার পরিবারকে খাদ্যসহায়তা প্রদানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। লকডাউনের প্রথম দিনই দুই হাজার পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর গত দুই দিনে প্রায় ৪৫০ পরিবারে এ সহায়তা বিতরণ করেছেন।
এলাকায় করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, গত ১৮ জুন আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে দুই চিকিৎসককে পাঠানো হয়েছে লকডাউন এলাকার স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য। রোববার থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। এক ওয়ার্ডের ২০ জন করে তিন ওয়ার্ডের মোট ৬০ স্বেচ্ছাসেবককে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আক্রান্তদের কনটাক্ট ট্রেসিং, নমুনা সংগ্রহকারীদের সহায়তা, লকডাউন শতভাগ বাস্তবায়নে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণসহ নানামুখী কাজ করবে এ স্বেচ্ছাসেবক দল। তবে সংগৃহীত নমুনার যাতে নিয়মিত পরীক্ষা কার্যক্রম গতিশীল হয়, সে ব্যাপারে স্বাস্থ্য দপ্তরকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। দিনের পরীক্ষার ফলাফল দিনে প্রকাশে সংশ্লিষ্টদের সক্রিয় হতে হবে।
এ সময় কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, সংরক্ষিত কাউন্সিলর আবিদা আজাদসহ আইশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।