নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি এমবি ফার্মা লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে আট দশমিক ২৯ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে চার লাখ ৬৬ হাজার ১০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশ বা এক টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৪৪ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪৪১ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে পাঁচ হাজার ৬১৮টি শেয়ার মোট ২৬০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৪ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। আর দিনভর শেয়ারদর সর্বনিন্ম ৪৩৭ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৪৯ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৩৫৩ টাকা থেকে ৬৭৫ টাকায় ওঠানামা করে।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন দুই লাখ ৪০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ তিন কোটি ৩৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ২৪ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে সরকারি শেয়ার রয়েছে ৭৫ দশমিক ২৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক চার দশমিক ১৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২০ দশমিক ৫৭ শতাংশ শেয়ার।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৪০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৯ পয়সা।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস লিমিটেড। কোম্পানিটির শেযারদর বেড়েছে পাঁচ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ৯ লাখ তিন হাজার ৩৪০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৪৫ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ টাকার শেয়ার।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ বা ছয় টাকা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৯৪৪ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৯৪৩ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে ৯ হাজার ১৭৬টি শেয়ার মোট ৬৯৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৮৮ লাখ তিন হাজার টাকা। আর দিনভর শেয়ারদর সর্বনিন্ম ৯৪০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৯৭৬ টাকায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৭৩১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে এক হাজার ৩৪৮ টাকায় ওঠানামা করে।
তেল ও জ্বালানি খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। পাঁচ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৭ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ৯ লাখ ৯৪ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে সরকারি শেয়ার রয়েছে ৫১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২২ দশমিক ৮৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২৬ দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ২৩ টাকা ৪৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৮২ টাকা ৭৬ পয়সা।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ৩৬ টাকা ২৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ১৬৯ টাকা ৩১ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ৪০ টাকা ৬৩ পয়সা ও ১৪৩ টাকা সাত পয়সা।
তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফার্মা এইডস লিমিটেড। ওষুধ ও রসায়ন খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে চার দশমিক ৩৬ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯৮০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৭৪ লাখ ২৯ হাজার ৯০০ টাকার শেয়ার।
তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। বিমা খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে তিন দশমিক ৮৬ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন এক লাখ ১৫ হাজার ৭৬০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে পাঁচ লাখ ৭৮ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার।
তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। বিমা খাতের ‘বি’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে দুই দশমিক ৫৮ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন তিন লাখ ১০ হাজার ৫২০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার।