সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ১৬৭টি শেয়ার তিন কোটি ১৩ লাখ ৭২ হাজার ৯০০ টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের এক দশমিক ১০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর দুই দশমিক ৫৩ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই দশমিক ০৪ শতাংশ বা এক টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৬৪ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৬৪ টাকা ৮০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৬৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬৪ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ১২ লাখ ৮৫ হাজার ১৩৬টি শেয়ার মোট এক হাজার ৫৯৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর আট কোটি ২৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৫২ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৮৬ টাকায় ওঠানামা করে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে সাত টাকা ৪৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭২ টাকা ৯৬ পয়সা।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা তার আগের বছরের সমান। ২০১৮ সালে কোম্পানির ইপিএস হয়েছিল ছয় টাকা ২৫ পয়সা আর এনএভি দাঁড়িয়েছিল ৬৬ টাকা ৭৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে পাঁচ টাকা ৪৯ পয়সা ও ৬১ টাকা ৮২ পয়সা।

কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪০৫ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ২৬ কোটি ৫১ লাখ ৩১ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির মোট ৪০ কোটি ৫৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪৪৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত আট দশমিক ৬৬ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে সাত দশমিক ৫০।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৬৮৪টি শেয়ার এক কোটি ২২ লাখ ৫২ হাজার ৮০০ টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর দুই দশমিক ০৫ শতাংশ বেড়েছে।

আর লেনদেনের দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে ছিল লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারদর দুই টাকা ৭৪ পয়সা কমেছে। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির ৮৯ হাজার ৭১২ শেয়ার এক কোটি ১৬ লাখ ১১ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ।

‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ১৯৭৬ সালে। ২০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪৩১ কোটি ৪০ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ৩৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে ৬৫ টাকা ৯৫ পয়সা এবং এনএভি ছিল ২৯৩ টাকা ৮৮ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করছে ১০০ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

কোম্পানির মোট এক কোটি ৫২ লাখ ১৮ হাজার ২৮০টি শেয়ারের মধ্যে ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য অনুয়ায়ী উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৬০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৯ দশমিক ২০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০