চট্টগ্রাম বন্দর

ধারণক্ষমতার ১৬ শতাংশই নিলামের কনটেইনার

সাইদ সবুজ, চট্টগ্রাম: নভেল করোনাভাইরাসে দীর্ঘদিন লাকডাউনে থাকায় দেশের বৃহৎ বন্দর পড়েছিল মারাত্মক কনটেইনার জটের কবলে। বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল পরিচালনা কার্যক্রম। তবে কর্তৃপক্ষের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপে জট কেটে গলেও কমেনি নিলামযোগ্য কনটেইনারের পরিমাণ, বরং প্রতিদিন ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে এর সংখ্যা। গত ২২ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা মোট কনটেইনারের সাড়ে ২৩ শতাংশই নিলামযোগ্য কনটেইনার। এসব কনটেইনার মোট ধারণক্ষমতার সাড়ে ১৬ শতাংশ দখল করে আছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবহন বিভাগের তথ্যমতে, চট্টগ্রাম বন্দরের মোট ধারণক্ষমতা রয়েছে ৪৯ হাজার ১৮ টিইইউএস (একক কনটেইনার)। আর ২২ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে লাইং অন কনটেইনার আছে ৩৪ হাজার ৭৭৩ টিইইউএস। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কনটেইনার হ্যান্ডেলিং হয়েছে ছয় হাজার ২১ টিইইউএস। এর মধ্যে আমদানিকৃত কনটেইনার জাহাজ থেকে নামানো হয়েছে এক হাজার ২৮৭ টিইইউএস। আর এক হাজার ৩২৮ খালি কনটেইনারসহ রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণ করা হয়েছে চার হাজার ৭৩৪ টিইইউএস। তবে ২২ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে নিলামযোগ্য কনটেইনার রয়েছে আট হাজার ১৯১ টিইইউএস। পাশাপাশি আমদানিকারক দীর্ঘদিন খালাস না করায় বন্দটিরে নিলামযোগ্য গাড়ি পড়ে আছে ৩৮০টি।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) মো. এনামূল করিম শেয়ার বিজকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন লকডাউনে থাকায় বন্দরে নিলামযোগ্য কনটেইনারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। কারণ লকডাউনের কারণে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস তাদের নিয়মিত নিলাম পরিচালনা করেতে পারেনি মনে হয়। তবে আমরা প্রতি মাসে নিলাম করার জন্য তালিকাসহ চট্টগ্রাম কাস্টমসে চিঠি দিয়ে থাকি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চট্টগ্রাম বন্দরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে দীর্ঘদিন যাবৎ পড়ে থাকা নিলামযোগ্য, ধ্বংসযোগ্য ও বিস্ফোরকজাতীয় পণ্যে নিলাম ও ধ্বংসকাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে প্রতি মাসে পত্রের মাধ্যমে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু বিপুল পরিমাণে অখালাসকৃত মালামাল প্রচলিত আইন অনুযায়ী নিলাম/ধ্বংস করার জন্য দালিলিকভাবে কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হলেও কায়িকভাবে তা বন্দর ইয়ার্ডে/শেডের অভ্যন্তরে থেকে যায়।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার দায়িত্বে থাকা উপকমিশনার ফরিদ আল মামুন শেয়ার বিজকে জানান, ‘করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই মাস নিলামের আয়োজন করতে পারেনি কাস্টম হাউস। তবে আগামী ৩০ জুন অনেক পণ্যের একসঙ্গে বড় নিলাম হচ্ছে। তাতে থাকবে ফল, গাড়ি, স্টিল পণ্য, গার্মেন্ট এক্সেসরিজ, বিভিন্ন ধরনের কাপড়, কেমিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, পেপার ও পেপারসামগ্রী, হার্ডওয়্যার, টেক্সটাইল মেশিনারিজ, সিরামিক আইটেমসহ বিভিন্ন মালামাল। মোট ২০০টি কনটেইনার ১৬৪টি লটে ভাগ করে এই নিলাম হবে। তবে হাইকোর্টে রিট থাকায় বেশ কিছু পণ্যের নিলাম করা যাচ্ছে না। আশা করছি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নিলাম কার্যক্রম আরও গতি পাবে।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০