লাইসেন্সের শর্ত না মানায় চট্টগ্রামে পাঁচ ফার্মেসিকে অর্থদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে লাইসেন্সের শর্ত না মানায় পাঁচ ফার্মেসি ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। করোনা পরিস্থিতিকে পুঁজি করে এসব ফার্মেসি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধসহ যৌন-উত্তেজক ওষুধের ব্যবসা করে আসছে। রয়েছে বেশি দামে ওষুধ বিক্রির অভিযোগও।

নগরীর অক্সিজেন এলাকার কয়েকটি ফার্মেসি মডেল ফার্মেসির অনুমোদন নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে অনুমোদনহীন ও ভেজাল ওষুধসহ যৌন-উত্তেজক ওষুধের ব্যবসা। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। এতে পাঁচ ফার্মেসিকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বিপুল পরিমাণে অনুমোদনহীন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হেক্সাসল জব্দ করা হয়।

গতকাল সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নগরীর অক্সিজেন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক মো. কামরুল হাসান।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান জানান, অক্সিজেন এলাকার পাঁচটি ফার্মেসিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসব ফার্মেসিতে গিয়ে দেখা গেছে, অনেকে মডেল ফার্মেসির অনুমোদন নিলেও মানা হয়নি লাইসেন্সের শর্ত। পাঁচটি ফার্মেসিতে অনুমোদনহীন হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি, আনরেজিস্টার্ড ওষুধ, ভারতীয় অনুমোদনহীন ভ্যাকসিন, সরকারি ওষুধ, ভায়াগ্রা, অনুমোদনহীন বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য, অনুমোদনহীন ভারতীয় কসমেটিকসও পাওয়া যায়, যা লাইসেন্সের ১৪টি শর্তের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

তিনি জানান, ওষুধ প্রশাসন কর্তৃক ইস্যুকৃত লাইসেন্সের শর্ত অমান্য করে ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। কোনো ফার্মেসি ওষুধ প্রশাসন কর্তৃক ইস্যুকৃত লাইসেন্সের শর্ত অমান্য করে ব্যবসা করতে পারবে না। তাই এসব অপরাধ আমলে নিয়ে ‘ওষুধ আইন, ১৯৪০’ অনুযায়ী কিউর অ্যান্ড কিউর ফার্মেসিকে ৩০ হাজার টাকা, বিসমিল্লাহ ফার্মেসিকে ২০ হাজার টাকা, হাফসা হানিফ মেডিকেলকে ১৫ হাজার টাকা, আল মাশাফি ফার্মেসিকে ১৫ হাজার টাকা ও ইকবাল ফার্মেসিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং পাঁচটি ফার্মেসিকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ব্যবসা করায় তিনটি খুচরা প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তিনি আরও জানান, অন্যদিকে একই এলাকায় একেএস ফার্মেসিতে গিয়ে দেখা গেছে, তারা ওষুধ প্রশাসন কর্তৃক ইস্যুকৃত লাইসেন্সের শর্ত মেনে ব্যবসা পরিচালনা করছে। কোনো ধরনের অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়নি, মোটকথা একটি পরিছন্ন ফার্মেসি। তাই তাদের ধন্যবাদ দেওয়া হয় এবং এটা বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০