চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চে বিশ্ব পুঁজিবাজার সূচক

শেয়ার বিজ ডেস্ক : করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ কভিড-১৯ এর কারণে এখও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরায় চালু হয়নি। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত উপাত্তে দেখা গেছে চীনের অর্থনৈতিক কার্যক্রম কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিনিয়োগকারীরা তাই নতুন করে আশা দেখছেন। এ সুবাদে বিশ্ব অর্থনীতির চাকাও আস্তে আস্তে সচল হবে বলে প্রত্যাশা তাদের। আর এ ইতিবাচক মনোভাবের প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। গতকাল সোমবার বিশ্ব পুঁজিবাজারের সূচক চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছায়। খবর : রয়টার্স।

বিশ্ব পুঁজিবাজারের সার্বিক সূচক এমএসসিআই, যা ৪৯টি দেশের সূচক নিয়ে গঠিত, বেড়েছে দশমিক সাত শতাংশ। গত ৬ জুনের পর এটিই এ সূচকের সর্বোচ্চ অবস্থান। এদিন এশিয়ার সার্বিক সূচকও বেড়েছে এক দশমিক ছয় শতাংশ। এ সূচকের মধ্যে জাপানের পুঁজিবাজার অন্তর্ভুক্ত নয়। এশিয়ার বাজারের মধ্যে গতকাল জাপানের নিক্কেই সূচক বেড়েছে এক দশমিক ৮৩ শতাংশ, হংকংয়ের হ্যাংসেং সূচক বেড়েছে তিন দশশিক ৮১ শতাংশ এবং চীনের সাংহাই সূচক বেড়েছে পাঁচ দশমিক ৭১ শতাংশ। এছাড়া ভারতের প্রধান সূচক সেনসেক্স বেড়েছে এক দশমিক ২৯ শতাংশ। এ অঞ্চলের অন্য বাজারগুলোর সূচকও ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ইউরোপের বাজারের মধ্যে লন্ডনের এফটিএসই ১০০ সূচক এবং জার্মানির ডিএসএক্স সূচক বেড়েছে প্রায় দুই শতাংশ, ফ্রান্সের সিএসসি ৪০ সূচক বেড়েছে এক দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং ইতালি ও স্পেনের সূচকও দুই শতাংশের বেশি বেড়েছে।

চায়না সিকিউরিটি জার্নালের একটি সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, দ্রুত বর্ধমান ডিজিটাল অর্থনীতিতে সহায়তা করতে একটি তেজি বাজার দরকার। আর সোমবার সেটিই ঘটল। সপ্তাহিক হিসেবে চীনের প্রধান সূচক বেড়েছ সাত শতাংশ।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এশিয়ার বাজারে ইতিবাচক মনোভাব আসার পেছনে মূল কারণ, প্রত্যাশার চেয়ে ভালো অর্থনৈতিক উপাত্ত। হংকংভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জেফারিসের প্রধান বৈশ্বিক ইকুইটি কৌশিলবিদ সিন ডার্বি বলেন, ‘সব ধরনের বৈশ্বিক মুদ্রা নির্দেশক এখন সবুজ সংকেত দিচ্ছে। এর মানে হলো বাজার পরিস্থিতি, যা এতদিন খুবই খারাপ ছিল; সেগুলো ভালো করবে।’ অন্য মুদ্রার বিপরীতে ডলারের বিনিময় মূল্য গত পাঁচ দিন ধরে দুর্বল ছিল উদীয়মান দেশগুলোতে, যার নেতৃত্ব দিয়েছে চীন। সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে ডলারের বিনিময় মূল্য বেশি থাকে বলে জানান তিনি।

গতকাল পুঁজিবাজারের পাশাপাশি জ্বালানি তেলের দামও ছিল ঊর্ধ্বমুখী। লন্ডনের ব্রেন্ট তেলের দাম গতকাল ব্যারেলপ্রতি এক দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৪৩ ডলার ৫৮ সেন্টে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তেলের দাম বেড়েছে দশমিক ৮৪ শতাংশ। এদিন প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয়েছে ৪০ ডলার ৯৯ সেন্টে।

স্বর্ণের দাম গত সপ্তাহের এক হাজার ৭৮৮ ডলার থেকে কমে প্রতি আউন্স বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৭৭৬ ডলার ২১ সেন্টে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০