খামারে পশু বিক্রিতে টোল নেওয়া যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক: খামারে পশু বিক্রি হলে সেখান থেকে কোনো ইজারাদার টোল আদায় করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতি বছর কিছু খারাপ অভিজ্ঞতা হয়। কোরবানির পশু পরিবহনের রাস্তায় চাঁদাবাজি হয়, দীর্ঘ সময় প্রাণীকে ট্রাকে আটকে রাখতে হয়। এবার আমরা চাই কোনোরকম চাঁদাবাজি হবে না। যে অঞ্চলে সুযোগ আছে, সেখান থেকে ট্রেনে পরিবহন হবে। খামারিদের খামারে পশু বিক্রি হলে সেখান থেকে ইজারাদার টোল আদায় করতে পারবেন না।’

গতকাল সচিবালয়ের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে তার দপ্তর কক্ষে কোরবানির পশুর হাটে সুস্থ-সবল গবাদিপশু সরবরাহ ও বিক্রয় নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত এক অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ বছরও দেশে কোরবানির জন্য গবাদি পশুর পর্যাপ্ত জোগান রয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর এক কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০টি গবাদি পশু কোরবানির জন্য মজুত রয়েছে। যার মধ্যে হƒষ্টপুষ্ট গরু-মহিষের সংখ্যা ৪৫ লাখ ৩৮ হাজার এবং ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ৭৩ লাখ ৫৫ হাজার ও অন্যান্য চার হাজার ৫০০টি। কোরবানির জন্য কোনো অবস্থাতেই বিদেশ থেকে গবাদিপশু আনার অনুমতি দেওয়া হবে না। করোনার কারণে গবাদিপশু বিপণনে এ বছর আমরা অনলাইন বাজারের ওপর জোর দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘গবাদিপশু বিপণন ও পরিবহন সমস্যা সমাধানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হটলাইন স্থাপন করা হবে। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক হটলাইনে সম্পৃক্ত হবেন। গবাদি পশুর বাজারগুলোতে প্রায় ১২০০ মেডিকেল টিম কাজ করবে, যাতে রুগ্ণ গবাদি পশু বাজারে না আসতে পারে। একইসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মনিটরিং টিম গঠন করা হবে। কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

কোনোভাবেই যেন একজন খামারি, বিক্রেতা বা সংশ্লিষ্ট অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে ব্যাপারে কর্মকর্তাদের সতর্ক করেন মন্ত্রী। এ সময় কোরবানি সংশ্লিষ্ট সরকারের সব বিভাগকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানেরও অনুরোধ জানান তিনি।

এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপপরিচালকরা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, বিজিবি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস এবং প্রাণিসম্পদ খাতের উদ্যোক্তা ও খামারিদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি অনলাইনে সভায় অংশগ্রহণ করেন।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০