সাপ্তাহিক বাজার

প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর বেড়েছে ৫৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিমা খাতের কোম্পানি প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৫৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে এক কোটি ৫২ লাখ ১২ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ কোটি ৬০ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ বা দুই টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৬৫ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৬৬ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬৮৭টি শেয়ার ৬৮৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি ৬৭ লাখ ১৮ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৬১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬৯ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৬৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য দুই শতাংশ নগদ ও দুই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ১৭ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৮৩ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫১ পয়সা।

এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৬৯ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে এক কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৬০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৩ কোটি ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১০ কোটি ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা।

কোম্পানির মোট তিন কোটি ৩২ লাখ ২৩ হাজার ১২ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪২ দশমিক ৪৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং বাকি ৪০ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৪ দশমিক ১১ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ৬৮ লাখ ৯৫ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকার শেয়ার।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ বা এক টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৭ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৭ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে সাত লাখ ৮৫ হাজার ৭৭৪টি শেয়ার মোট ৫২৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৩৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা। আর দিনভর শেয়ারদর সর্বনিন্ম ১৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৭ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১১ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৩৪ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে।

গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৮ কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪ কোটি ৯০ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

কোম্পানির মোট তিন কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার ৭২৭ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং বাকি ৪৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে জনতা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। বিমা খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির এই কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২০ দশমিক ৪১ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ২১ লাখ ৯৯ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে এক কোটি ৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকার শেয়ার।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ছয় পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৩০ পয়সা। আগের বছর একই সময় যা ছিল যথাক্রমে ৫০ পয়সা ও ১৩ টাকা ৮৯ পয়সা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বা এক টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৭ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৭ টাকা ৭০ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০