আট জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদনদীর পানি বাড়তে থাকায় দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যার বিস্তার বাড়ছে। পানি বাড়তে থাকায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নাটোর ও রাজবাড়ী এ আট জেলার নিন্মাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্র।

প্রথম দফা বন্যার ক্ষত না সারতেই দ্বিতীয় ধাপের এ বন্যায় লাখো মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। গত সপ্তাহে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় দুর্গতদের অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে আবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

গতকাল সকাল ৯টায় দেশের নদনদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১০১টি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে ৭৮টি পয়েন্টেই পানি বাড়ছিল। এর মধ্যে বিপদসীমার ওপরে বয়ে যাচ্ছিল ২২টি পয়েন্টে। ২০টি পয়েন্টে পানি কমলেও দুটি পয়েন্টে অপরিবর্তিত রয়েছে।

বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা অববাহিককার নদনদীর পানি বাড়ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা তা অব্যাহত থাকবে। সুরমা নদী ছাড়া মেঘনা অববাহিককার নদনদীর পানিও আগামী ২৪ ঘণ্টা বাড়তে থাকবে।

বহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মা, ধরলা, তিস্তা, ঘাগট, গুড়, আত্রাই, সুরমা, কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন, পুরোনো সুরমা, সমেশ্বরী ও ?মহুরী নদীর ২২টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পনি বিপদসীমার সর্বোচ্চ ৮৮ সেন্টিমিটার ওপরে বয়ে যাচ্ছে।

আরিফুজ্জামান জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় নীলফামারী, লালমনিরহাট ও রংপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ফেনীর বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নাটোর ও রাজবাড়ী জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০