নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) উভয় বাজারে গতকাল বুধবার সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন কমেছে। এদিন বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। বাকি শেয়ারের মধ্যে বেশিরভাগ শেয়ারের দর বেড়েছে। তবে সূচকের মিশ্র প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। গতকাল বাজারে লেনদেনের
শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী গতি দেখা যায়, আধঘণ্টা পর থেকে বাজারে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত পতন দেখা যায়। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স তিন দশমিক শূন্য সাত পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক শূন্য সাত শতাংশ কমে চার হাজার ৭৯ দশমিক শূন্য সাত পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক এক দশমিক ৯১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ কমে ৯৫০ দশমিক ২২ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক এক দশমিক শূন্য তিন পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক শূন্য সাত শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৩৭৫ দশমিক শূন্য আট পয়েন্টে স্থির হয়।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ২৬৭ কোটি ৮৩ লাখ ৭২ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৮৯ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ২১ কোটি ৪৭ লাখ ২৮ হাজার টাকার। এদিন সাত কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার ৬১৪টি শেয়ার ৬১ হাজার ২৪৩ বার হাতবদল হয়।
এদিন মোট ৩৪১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৭১টির এবং কমেছে ৬৪টির। বাকি ২০৬টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন ১২২ কোটি ৮২ লাখ ১৪ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ১৫ হাজার ৮২১ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার টাকায়।
গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। কোম্পানিটির ১৬ কোটি ২৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর এক টাকা ৩০ পয়সা বেড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা গ্রামীণফোন লিমিটেডের ১৩ কোটি ৭৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারদর দুই টাকা ২০ পয়সা বেড়েছে। বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ১২ কোটি ৯৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন টাকা ৮০ পয়সা বেড়েছে। এরপরের অবস্থানগুলোতে থাকা ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ১১ কোটি ৫৭ লাখ ৯২ হাজার টাকার, নাহি অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল লিমিটেডের ৯ কোটি আট লাখ ৩৪ হাজার, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটিডের আট কোটি ৬২ লাখ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল লিমিটেডের সাত কোটি ২৪ লাখ ৮৬ হাজার, জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের ছয় কোটি ৯১ লাখ ৩৮ হাজার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানি লিমিটেডের ছয় কোটি ৬২ লাখ ২৯ হাজার এবং ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ছয় কোটি ৪৯ লাখ ১৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
আট দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল ফাইন ফুডস লিমিটেড। ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সাত দশমিক ৩২ শতাংশ, হাক্কানি পাল্পের সাত দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের পাঁচ দশমিক ৯১ শতাংশ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের পাঁচ দশমিক ২০ শতাংশ, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পাঁচ দশমিক শূন্য আট শতাংশ, পাইওনিয়র ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পাঁচ শতাংশ, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চার দশমিক ৯৫ শতাংশ, শমরিতা হসপিটালের চার দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চার দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
অন্যদিকে সাত দশমিক ৮৯ শতাংশ দর কমে পতনের শীর্ষে উঠে আসে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড। ঢাকা ডায়িং লিমিটেডের দর ছয় দশমিক ৯৭ শতাংশ, বাংলাদেশ ওয়েল্ডিংয়ের দর তিন দশমিক ৭৯ শতাংশ, তাল্লু স্পিনিংয়ের তিন দশমিক ৩৩ শতাংশ, অলিম্পক ইন্ডাস্ট্রিজের দুই দশমিক ৩৮ শতাংশ, লিবরা ইনফিউশনসের দুই দশমিক ২৪ শতাংশ, স্কয়ার ফার্মার দুই দশমিক ১৪ শতাংশ, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের এক দশমিক ৮০ শতাংশ এবং এমজেএল বাংলাদেশের এক দশমিক ৭১ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স দুই দশমিক ৯৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক শূন্য চার শতাংশ বেড়ে সাত হাজার ৩৪ দশমিক ২৪ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দুই দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক শূন্য দুই শতাংশ বেড়ে ১১ হাজার ৬০৩ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে অবস্থান করে। সিএসইতে ১৮৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ৪৭টির, কমেছে ৫১টির এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত ছিল। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৭০ লাখ ৪৪ হাজার ৯৪২ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৭ কোটি ৬৩ লাখ ১১ হাজার ৯৮৫ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ছয় কোটি ৯২ লাখ ৬৭ হাজার টাকার। সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল যমুনা ব্যাংক লিমিটেড।
