ক্রীড়া প্রতিবেদক: প্রাণঘাতী করোনার কারণে গত মার্চ থেকেই বন্ধ দেশের ক্রিকেট। তবে বসে ছিলেন না ক্রিকেটাররা। ঘরেই সেরেছেন ফিটনেস অনুশীলন। কিন্তু সেটা ছিল না পর্যাপ্ত, যা ধরা পড়েছে মুশফিকুর রহিম-মোহাম্মদ মিঠুনদের রোববারের অনুশীলনে।
আগেই সবাই জানতেন রোববার থেকে অনুশীলনে ফিরবেন ক্রিকেটাররা। তাই এদিন সকাল সকাল মিরপুর একাডেমিতে হাজির হন সাংবাদিকরা। মুশফিকুর রহিম অবশ্য পূর্বনির্ধারিত সূচি ভেঙে আগেই চলে আসেন সেখানে। বিসিবির ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদারের উপস্থিতিতে রানিং করেন। ৩০ মিনিট রানিং শেষে এক ঘণ্টার বিশ্রাম শেষে ১০টায় যান ব্যাটিং করতে। এক ঘণ্টা বোলিং মেশিনে ব্যাটিং অনুশীলন করে মাঠ ত্যাগ করেন মুশফিক।
মুশফিকের আগে ইনডোরে ব্যাটিং অনুশীলন করেন জাতীয় দলের আরেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন। সকাল ৯টা থেকে এক ঘণ্টা ব্যাটিং শেষে মিঠুনকে একাডেমি মাঠে রানিং করতে দেখা যায়। বেলা ১১টার পর ব্যক্তিগত অনুশীলন করতে আসেন পেসার শফিউল ইসলাম। ৩০ মিনিট রানিং করে হাঁপাতে হাঁপাতে একাডেমি মাঠের এক প্রান্তে বিশ্রাম নিতে বসেন এ পেসার।
রানিংয়ে শফিউল বেশি কাহিল না হলেও মুশফিক-মিথুন দম ফেলতে পারছিলেন না। চার মাস প্রতিযোগিতাপূর্ণ খেলার বাইরে থাকার স্পষ্ট প্রভাব দেখা গেল জাতীয় দলের তিন ক্রিকেটারদের ফিটনেসে। কেমন এমনটা হলো? এ ব্যাপারে অনুশীলন শেষে এক ভিডিও বার্তায় মিঠুন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ চার মাস পরে আজ মাঠে অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি। তো ব্যাটিং, রানিং সবই একটু কঠিন মনে হচ্ছে। কারণ এতদিন আমরা ইনডোরে ফিট থাকার অনুশীলন করেছি, এখনও বাইরে এসে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে। আশা করছি প্রতিদিন একটু একটু করে আবার আগের মতোই সব ফিরে পাব।’
রোববার সকাল থেকে দেশের চার ভেন্যুতে ব্যক্তিগত অনুশীলন সারেন ৯ ক্রিকেটার। সিলেটে পেসার খালেদ আহমেদ ও বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ এবং খুলনায় দুই অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ, মেহেদী হাসান ও উইকেট কিপার নুরুল হাসান অনুশীলন করেছেন। চট্টগ্রামে অবশ্য বৃষ্টির কারণে নাঈম হাসানের যাওয়াই হয়নি জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
কয়েকজন ক্রিকেটারের আগ্রহের কারণে ২৬ জুলাই পর্যন্ত চার ভেন্যুতে অনুশীলনের অনুমতি দিয়েছে বিসিবি। তবে কড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেই অনুশীলন চলবে।