সম্প্রতি চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্সের (বিসিই) উদ্যোগে করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যসংক্রান্ত বিষয়ে ‘সারভাইভিং দ্য পেন্ডামিক’ ধারাবাহিক আলোচনার দ্বিতীয় পর্বে ওপেন অ্যাকাউন্ট কন্ট্র্যাক্ট ও পেমেন্টের ঝুঁকি হ্রাসের বিষয়ে এক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক ওসামা তাসির, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের প্রফেসর ড. শাহ আহসান হাবীব, ডেনিম এক্সপোর্টের পরিচালক মোস্তাফিজ উদ্দীন, এইচএসবিসি ব্যাংকের গ্লোবাল ট্রেড অ্যান্ড রিসিভ্যাবল ফাইন্যান্সের কান্ট্রি হেড মো. শহীদুজ্জামান ও ইস্টার্ন ব্যাংকের ডিএমডি আহমেদ শাহীন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিসিই’র প্রধান নির্বাহী ওয়াসফি তামিম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপেন এসি কন্ট্র্যাক্ট-সংক্রান্ত ৩০ জুন প্রকাশিত সার্কুলারের পরিপ্রেক্ষিতে বক্তারা সরকারের এই উদ্যোগকে রপ্তানিসহায়ক ও সঠিক পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
তারা সম্মিলিতভাবে ঐকমত্য পোষণ করে বলেন, করোনা-পরবর্তীকালে আমদানিকারকদের প্রতি রপ্তানিকারকদের অনেক বেশি অনুকূল পেমেন্ট সুবিধা প্রস্তাব করতে হবে এবং এক্ষেত্রে ওপেন অ্যাকাউন্ট কন্ট্র্যাক্টের মাধ্যমে পেমেন্ট প্রদান একটি ভালো সমাধান হতে পারে। কাজেই বাংলাদেশ ব্যাংকের এ উদ্যোগ সময়োপযোগী। তবে তারা আমদানিকারকদের সঙ্গে রপ্তানিকারকদের চুক্তি সম্পাদনের সময় ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানান। উল্লেখিত ঝুঁকি হ্রাস করার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞরা সংশ্লিষ্ট চেম্বারগুলোকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন; যেমনÑরপ্তানিকারক ও তাদের নির্বাহীদের ওপেন এসি কন্ট্র্যাক্ট ও পেমেন্ট সিস্টেমের বিষয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি, ওপেন এসি কন্ট্র্যাক্টের প্রয়োগযোগ্য মানদণ্ড নির্ধারণ এবং বিদেশি চেম্বারের সমন্বয়ে দেশ ও আমদানিকারকদের রিস্ক প্রোফাইল তৈরি করা। একই সঙ্গে তারা ঝুঁকি হ্রাস করতে ব্যাংকগুলোকে রপ্তানিকারকদের প্রতি সহায়তা বৃদ্ধির অনুরোধ জানান।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ওপেন অ্যাকাউন্ট কন্ট্র্যাক্টের সংখ্যা বৃদ্ধিতে আমদানিকারকদের চাপ থাকতে পারে বলে উল্লেখ করে যেহেতু এলসি অনেক বেশি নিরাপদ পদ্ধতি, তাই রপ্তানিকারক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে এলসি ও ওপেন এসি কন্ট্র্যাক্টের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখার ওপর বক্তারা গুরুত্বারোপ করেন। বিজ্ঞপ্তি
