নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজস্ব ফাঁকি রোধে অপ্রতিরোধ রংপুর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। জিরো টলারেন্সের আওতায় চলছে অভিযান। আটক হচ্ছে একের পর এক রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া পণ্যের চালান। এরই অংশ হিসেবে ১৭ লাখ ২৯ হাজার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া বিড়ি আটক করা হয়েছে।

এসব বিড়িতে রাজস্ব ফাঁকি দিতে ব্যবহৃত ব্যান্ডরোল পুন:ব্যবহার, ব্যান্ডরোল বিহীন ও মূসক চালান ছাড়াই বাজারজাত করা হচ্ছে। রোববার (২৬ জুলাই) এসব বিড়ি আটক করা হয়েছে। রংপুর ভ্যাট কমিশনার শওকত আলী সাদী শেয়ার বিজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন-ব্যবহৃত ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি ও মূসক চালানহীন গুল আটক
আরো পড়ুন-রংপুরে রাজস্ব ফাঁকি দেয়া ২৯ লাখ শলাকা বিড়ি আটক
আরো পড়ুন-রংপুরে ১৫ লাখ ১৮ হাজার নকল ব্যান্ডরোল উদ্ধার
তিনি বলেন, দেশে বিরাজমান করোনা পরিস্থিতি এবং শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে জিরো টলারেন্সের আওতায় অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। ভ্যাটের সদর দপ্তর প্রিভেন্টিভ টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চার লাখ ৭৪ হাজার শলাকা বিড়ি আটক করে। এসব বিড়ি ১নং শান্ত বিড়ি, আতিক বিড়ি ও মাসুদ বিড়ি ব্যান্ডের। রাজস্ব ফাঁকি দিতে এসব বিড়িতে ব্যবহৃত ব্যান্ডরোল পুনরায় ব্যবহার ও ব্যান্ডরোল বিহীন বিড়ি রয়েছে। বিড়িতে জড়িত রাজস্ব এক লাখ ৫৩ হাজার ৫৭৬ টাকা।

কমিশনার বলেন, রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রিভেন্টিভ টিম অভিযান চালায়। এসময় রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া ১২ লাখ ৫৫ হাজার শলাকা বিড়ি আটক করা হয়। এসব বিড়িতে রাজস্ব ফাঁকি দিতে ব্যবহৃত ব্যান্ডরোল পুনরায় ব্যবহার ও মূসক চালান ছাড়াই বাজারজাত করা হচ্ছে। এসব বিড়ি ফেন্সি, নিউ আশা, আপেল, কারিগরি, ১নং স্টার ব্যান্ডের। এতে জড়িত রাজস্ব চার লাখ ৫৬ হাজার ৩১৮ টাকা। দুইটি ঘটনায় রাজস্ব ফাঁকির সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

কমিশনার শওকত আলী সাদী জানান, করোনার কারণে কিছুদিন অভিযান বন্ধ ছিল। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা থেমে থাকেনি। সেজন্য রাজস্ব ফাঁকি রোধে আমরা সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছি। ইতোমধ্যে আরও বড় তিনটি চালান আটক করা হয়েছে। রাজস্ব ফাঁকি রোধে প্রয়োজন অনুযায়ী সারাবছর যেকোন সময় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
রংপুর ভ্যাট কমিশনারেট সূত্র জানায়, ১৭ জুলাই রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া, ব্যবহৃত ব্যান্ডরোলযুক্ত ৫০ বস্তা বিড়ি ও নয় বস্তা গুল আটক করা হয়েছে। যাতে ১২ লাখ ৫০ হাজার শলাকা বিড়ি ছিল। যার রাজস্ব আরোপযোগ্য মূল্য নয় লাখ টাকা। এতে রাজস্ব চার লাখ পাঁচ হাজার টাকা। নয় বস্তা গুলে জড়িত রাজস্ব প্রায় ৭০ হাজার টাকা। বিড়ি ও গুলে মোট রাজস্ব চার লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
###