তিন খাতের লেনদেনে নির্ভর করে পুঁজিবাজারে বড় উত্থান

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: দীর্ঘদিন পরে গতকাল পুঁজিবাজারে বড় উত্থান দেখা গেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বাড়তে দেখা গেছে ৪৮ পয়েন্ট। দিনশেষে সূচকের অবস্থান হয়েছে ৪ হাজার ১২৯ পয়েন্টে। পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনও। গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে মোট ৩৭১ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়।

এদিকে গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, উত্থানের পেছনে বড় ভ‚মিকা ছিল তিন খাতের কোম্পানির। মূলত এই তিন খাতের একক আধিপত্যের কারণেই দেখা মিলেছে বড় উত্থানের। এই তিনটি খাত হচ্ছে ওষুধ ও রসায়ন, বিমা এবং বস্ত্র খাত। গতকাল মোট লেনদেনে এই তিন খাতের অবদান ছিল ৬৩ শতাংশ।

খাত তিনটি নিয়ে ভিন্নভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সবার শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে ছিল খাতটি। মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান ছিল ২৮ শতাংশ। পরের অবস্থানে ছিল বিমা খাত। লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্তই এই খাতের শেয়ারে নজর ছিল বিনিয়োগকারীদের। সারাক্ষণই এই খাতের বেশিরভাগ কোম্পানিতে ভিড় ছিল বিনিয়োগকারীদের, যার জের ধরে লেনদেন শেষে এই খাতের মোট লেনদেনে অবদান ছিল ১৯ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে থাকা বস্ত্র খাতের মোট লেনদেনে অবদান ছিল ১৪ শতাংশ। চাহিদা থাকার কারণে গতকাল দিন শেষে এই খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে দেখা গেছে।

এই তিন খাত ছাড়া অন্যান্য খাতের মধ্যে কিছুটা আগ্রহ দেখা যায় খাদ্য, ব্যাংক এবং আর্থিক খাতের কোম্পানির শেয়ারের। এছাড়া মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটে ঝোঁক দেখা গেছে কিছু বিনিয়োগকারীর।

এদিকে গতকাল মূল মার্কেটে ৩০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হতে দেখা গেছে। গতকাল ডিএসই মোট ৩৭১ কোটি টাকার মধ্যে বøক মার্কেটের লেনদেন ছিল ৬২ কোটি টাকা। এদিন ব্লক মার্কেটে মোট ৩৮ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার এবং ইউনিট কেনাবেচা হয়।

এদিকে বিনিয়োগকারীদের ফ্লোর প্রাইসের বেশি দরে শেয়ার কেনার মনোভাবের কারণে গতকাল ১১৫টি প্রতিষ্ঠান ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর বাড়ে। যার মধ্যে কেশিরভাগই ছিল মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানি। এসব কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে থাকায় গতকাল লেনদেনের শেষের দিকে বিক্রেতা কমে যায়। তা না হলে মোট লেনদেন আর বেশি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০