করোনা উপসর্গ নিয়ে রাজস্ব কর্মকর্তার মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনার উপসর্গ নিয়ে মো. রহমত আলী নামে এক রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি….রাজিউন। রোববার (৯ আগস্ট) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিইউতে তিনি মারা যান। তিনি রংপুর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের আওতাধীন বাংলাবান্ধা শুল্ক স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। রংপুর ভ্যাট কমিশনার শওকত আলী সাদী শেয়ার বিজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ নিয়ে তিনজন রাজস্ব কর্মকর্তা মারা গেছেন। এর আগে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কাস্টমস ও ভ্যাটে চারজন মারা গেছেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম মারা গেছেন রাজস্ব কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মজমুদার। তিনি ২০ মে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যায়। তিনি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কর্মরত ছিলেন।

১২ জুন মারা যান রাজস্ব কর্মকর্তা খোরশেদ আলম। তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ঢাকা কাস্টম হাউসে তিনি কর্মরত ছিলেন। ১৬ জুন মারা যান গাড়ি চালক আইয়ুব আলী। তিনি ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেটে কর্মরত ছিলেন। ২০ জুন রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা কবির হোসেন শিকদার। তিনি ঢাকা কাস্টম হাউসে কর্মরত ছিলেন।

কমিশনার শওকত আলী সাদী জানান, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. রহমত আলী বাংলাবান্ধা শুল্ক স্টেশনে দায়িত্বরত অবস্থায় অসুস্থ হয়। পরে প্রথমে তাকে রাজধানীর ধানমন্ডি পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ব্যয় বেশি ও অবস্থার অবনতি হওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে নেয়া হয়। আজ সকালে মারা গেছেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাবান্ধা শুল্ক স্টেশন তিন দেশের করিডোর। এ স্টেশনে আমদানিকারক-সিএন্ডএফ এজেন্টসহ স্টেকহোল্ডার প্রচুর সমাগম হয়। ফলে স্বাস্থ্যবিধি যতই মানা হোক না কেন অতিরিক্ত জনসমাগমের কারণে সংক্রমিত হবেই।

বাকাএভ সদস্য সচিব মো. মজিবুর রহমান শেয়ার বিজকে বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে প্রথমে তার জ্বর হয়। ৩-৪দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। করোনার সব উপসর্গ ছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে তাকে পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে নেয়া হয়। খরচ ব্যয়বহুল হওয়ায় পরিবারের সিদ্ধান্তে দুইদিন আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে মারা যায়। তার তিন ছেলে, স্ত্রী রয়েছে। তার বাড়ি কুড়িগ্রাম।

রাজস্ব কর্মকর্তা মো. রহমত আলীর ভাই মো. কুদরত আলী শেয়ার বিজকে বলেন, রহমত আলীর আগে থেকেই ডায়াবেটিকস ছিল। বাংলাবান্ধায় দায়িত্বরত অবস্থায় তিনি অসুস্থ হয়। তার জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, শরীর ব্যথাসহ করোনার সব উপসর্গ ছিল। উপসর্গ নিয়েই তিনি গ্রামের বাড়িতে যায়। সেখানে তাকে আলাদা রাখা হয়।

তিনি বলেন, শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ব্যয় বহন করা কষ্টকর হওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। আজ সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি মারা গেছেন। তার তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে অনার্স ও মেঝ ছেলে এইচএসসিতে পড়ে। আরেকজন ছোট। কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার মাস্টারপাড়া গ্রামে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থান দাফন করা হবে।

###

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০