নিজস্ব প্রতিবেদক: সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর কমার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে ফান্ডটির ইউনিটদর কমেছে ১০ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ৯৮ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকার ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে তিন কোটি ৯৪ লাখ ৪৬ হাজার টাকার ইউনিট।
৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যোলোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা করেছে ফান্ডটির ট্রাস্টি কমিটি। আলোচিত সময়ে ইউনিটপ্রতি আয় (ইপিইউ) হয়েছে ৪৮ পয়সা (লোকসান) এবং ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে বাজারমূল্যে আট টাকা ৯৯ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ৯৮ পয়সা ও ১০ টাকা ৮১ পয়সা। আর এ হিসাববছরে ইউনিটপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩৬ পয়সা, আগের বছর যা ছিল এক টাকা ৯ পয়সা। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৩ আগস্ট।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ফান্ডটির ইউনিটদর ছয় দশমিক ১৭ শতাংশ বা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ সাত টাকা ৬০ পয়সায় হাত বদল হয়। যার সমাপনী দরও ছিল সাত টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে ৪৩ লাখ ৮৯ হাজার ২৯৭টি ইউনিট মোট ৩২৬ বার হাত বদল হয়। যার বাজারদর তিন কোটি ৩০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। আর দিনভর ইউনিটদর সর্বনি¤œ সাত টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ আট টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে ফান্ডটির ইউনিটদর ছয় টাকা ১০ পয়সা থেকে ১২ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে।
মিউচুয়াল ফান্ডটি ২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। পরিশোধিত মূলধন ৬৬ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ফান্ডটির ছয় কোটি ৬৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে ৭৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের হাতে, শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে, আর বাকি ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
দর কমার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ‘এ’ ক্যাটেগরির আরগন ডেনিমস লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে আট দশমিক ৩০ শতাংশ। কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে তিন কোটি দুই লাখ ৮০ হাজার ৭৫০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ১১ লাখ ২৩ হাজার টাকার শেয়ার।
সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর দুই দশমিক ৫১ শতাংশ বা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৩ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৩ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে পাঁচ লাখ ৭৪ হাজার ৩৭টি শেয়ার মোট ৫০৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৩৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৪ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ১৪ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২৬ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
এদিকে কোম্পানিরট তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৭৩ পয়সা। ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৩২ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ২৭ টাকা ৯৩ পয়সা।