গত বছরের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় টেনসেন্ট গেমস ও পাবজি করপোরেশন বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মত ওপেন-টু-অল-ফ্ল্যাগশিপ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশে চ্যালেঞ্জ ২০২০ নিয়ে এসেছে। গেমটি চালু হওয়ার পর থেকে ইস্পোর্টস ইকোসিস্টেমের একটি অংশ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় বাংলাদেশের সব প্লেয়ারের দক্ষতা কাজে লাগানোর পাশাপাশি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় এডিশন চালু করে প্লেয়ারদের আরেকটি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে পাবজি মোবাইল।
ইতোমধ্যে পাবজি মোবাইল বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ এডিশনটি, দেশের বেশ কয়েকটি পেশাদার ইস্পোর্ট ক্যারিয়ারের চূড়ান্ত মাধ্যম হিসাবে সক্ষম হয়েছে। যারা বাংলাদেশের পরবর্তী পাবজি মোবাইল তারকা হতে চায়, সেইসব উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্লেয়ারদের জন্য এ টুর্নামেন্টটি একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড।
রেজিস্ট্রেশন চলবে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত
ইন গেম কোয়ালিফায়ার চলবে ২১ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত। স্ক্রিমস পর্যায় চলবে ২৪ থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত। প্রি-বাছাইপর্ব- অনলাইন প্লে অফ( রাউন্ড ১) ৩০ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। বাছাইপর্ব – অনলাইন প্লে অফ( রাউন্ড ২) ৪ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। গ্র্যান্ড ফিনালে ১১ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
ফরমেটস অ্যান্ড রাউন্ড
সবার জন্য উম্মুক্ত এ গেমটির প্রতিযোগীদের নির্ধারণ করতে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে ইন-গেম-এর বাছাইপর্ব। এ বছর গেমটিতে নতুনত্ব নিয়ে আসতে, সব নিবন্ধিত দলকে (২১ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত) পাঁচ দিনের ব্যবধানে ১০টি ক্লাসিক মোড ম্যাচ খেলতে হবে। যার মধ্যে ৮টি সেরা খেলাকে অনলাইন প্লে-অফ–এর জন্য নির্বাচন করা হবে। ইন-গেম বাছাইপর্বে নির্বাচিত হওয়ার জন্য স্কোয়াডের মানদণ্ডলো প্লেসমেন্ট পয়েন্ট ও কিল পয়েন্টের উপর নির্ভর করবে। এছাড়া এটি ওভারল্যাপের ক্ষেত্রে কম্বিনেশন নাম্বার অফ কিল’স, টোটাল ড্যামেজ ও নাম্বার অব হেডশট-এর সমন্বয় দলের ভাগ্য নির্ধারণ হবে।
অনলাইন প্লে অফের প্রথম রাউন্ডে মোট ২৫৬ দল প্রতিযোগিতা করবে, যার মধ্যে শীর্ষে থাকা ২৫২ দল ইন-গেমের বাছাইপর্বে ও অন্য ৪ দল সরাসরি আমন্ত্রিত হিসেবে আসবে। আমন্ত্রিত দলগুলো হচ্ছে, পাবজি মোবাইল বাংলাদেশের পরিচিত কিছু তারকা যেমন, টিম আরটুভি, টিম এনআরএক্স, মোজা স্কোয়াড ও পাবজি এক্সের সম্বনয়ে গঠিত হবে।
প্রতিযোগিতার জন্য এসব দলকে ১৬ গ্রুপে বিভক্ত করা হবে। এর প্রত্যেক দলই দুইটি করে ম্যাচ খেলবে। প্লেয়াররা প্লেসমেন্ট পয়েন্ট ও কিল পয়েন্ট অর্জনের মাধ্যমে লিডার বোর্ড ডমিনেট করার চেষ্টা করবে। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ ৩ স্লট সর্বোচ্চ সংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে। এ বিশেষ রাউন্ডের যুদ্ধক্ষেত্র হবে ইরাঙ্গেল ও স্যানহক, যা সব প্লেয়ারদের জন্য ক্লাসিক শোডাউন হিসেবে বিবেচিত হয়।
বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে আমন্ত্রিত ৮ দল থাকবে। এ আমন্ত্রিত দলগুলো পিএমসিও এসএ ও পিএমবিসি ২০১৯ -এর মত শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি দল থেকে গঠন করা হবে। দলগুলো শীর্ষ ১৬ স্লট দখল করার জন্য ৪ দিনের জন্য লড়াই করবে। যারা এই স্লট দখল করতে পারবে তারা ২০২০ সালের ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বরের নির্ধারিত গ্র্যান্ড ফিনালেতে পৌঁছে যাবে।
দেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষী দলগুলোকে একটি সুযোগ দেওয়ার জন্য পাবজি মোবাইল ২৪ আগস্ট থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত স্ক্রিমের আয়োজন করেছে। নিবন্ধিত দলগুলি প্রতিদিন ৪ ঘন্টার জন্য ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়ের খেলা দেখা ও শেখার সুযোগ পাবে। এর আগে, স্ক্রিমসের প্রো-টিমগুলো ২৮,০০০ টাকার পুরস্কার জেতার সুযোগ পাবে। ৩২ দলকে দুইটি গ্রুপে ভাগ করা হবে, প্রতিটি গ্রুপের ১৬ দলই প্রতিদিন ৪টি করে ম্যাচ খেলবে। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষে থাকা ৮ দল স্ক্রিমস ফাইনালে খেলার সুযোগ পাবে।
পয়েন্ট ডিস্ট্রিবিউশন ও প্রাইজ পুল
বরাবরের মতই, পয়েন্ট ডিস্ট্রিবিউশন হবে দুই ভাগে- সর্বাধিক কিলস ও প্লেসমেন্ট পয়েন্ট উপর ভিত্তি করে। প্রতিটি কিলের উপর ভিত্তি করে ১ পয়েন্ট থাকবে। বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ এর মাধ্যমে প্লেয়ারদের ১৭ লাখ টাকার পুরস্কার জেতার সুযোগ করে দিয়েছে পাবজি মোবাইল।
বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ অফারটি সম্পর্ণ আলাদা, কারণ এটি সব পাবজি প্লেয়ারদের একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে এনেছে। নিবন্ধের জন্য প্লেয়ারদের কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। তবে এগুলো অনলাইন কাট-অফের ভিত্তিতে ফিল্টার করা হবে। প্রতিযোগিতায় প্রথম র্যাঙ্কিং স্থানকারী দল পাবে ছয় লাখ টাকা, দ্বিতীয় র্যাঙ্কিং স্থানকারী দল পাবে আড়াই লাখ টাকা, তৃতীয় র্যাঙ্কিং স্থানকারী দল পাবে দেড় লাখ টাকা, এভাবে ১৬তম র্যাঙ্কিং স্থানকারী দলের জন্যও রয়েছে নগদ পুরস্কার।