নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী পাঁচ বছরের জন্য ১৩ ধরনের ওষুধ আফগানিস্তানে রপ্তানির চুক্তি করেছে সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। কোম্পানিটি আনুমানিক প্রায় তিন লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলারের ওষুধ রপ্তানি করবে। এতে কোম্পানির প্রায় ৩০ শতাংশ মুনাফা হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, আফগানিস্তানে অবস্থিত জাহিদ ইলিয়াস আদিল লিমিটেডের সঙ্গে একটি রপ্তানি চুক্তি করেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস। আগামী পাঁচ বছরের জন্য ১৩ ধরনের ওষুধ আফগানিস্তানে রপ্তানি করবে। আফগানিস্তানে ওষুধ রপ্তানির মাধ্যমে কোম্পানির প্রায় ৩০ শতাংশ মুনাফা হবে। আনুমানিক কোম্পানিটি প্রায় তিন লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলারের ওষুধ রপ্তানি করবে। প্রথম ধাপেই রপ্তানি হবে ২৬ হাজার ৭৮০ হাজার মার্কিন ডলারের ওষুধ। চলতি মাস থেকেই এ রপ্তানি প্রক্রিয়া শুরু করবে কোম্পানিটি।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক ২৬ শতাংশ বা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৬ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৭ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে ১২ লাখ ২৯ হাজার ১১৪ শেয়ার ৭৬৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি ৪০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৬ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৮ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৮ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৪০ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য দুই শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ২৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ১২ পয়সা। আর ওই সময় মোট মুনাফা করেছে ১৬ কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৬৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়ায় ২৭ টাকা শূন্য পাঁচ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করে ১০ কোটি ৫৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
কোম্পানির ১০৫ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০৩ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১১৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানিটি ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির মোট ১০ কোটি ৩৮ লাখ সাত শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৯ দশমিক ১২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৮ দশমিক ২১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ ও বাকি ৪২ দশমিক ৫৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ১১ দশমিক ৮৯ ও হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২৬ দশমিক ৭৪।