মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: সম্প্রতি লেনদেনে ভাটা পড়েছে বিমা, ওষুধ ও রসায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং ব্যাংক খাতের শেয়ারে। এসব খাত ছেড়ে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকে পড়েছেন বিবিধ খাতের কোম্পানিতে, যে কারণে তিন দিন ধরে এই খাতের কোম্পানির আধিপত্য দেখা যাচ্ছে। গতকালও লেনদেনে সবচেয়ে উজ্বল দেখা যায় এ খাতের কোম্পানি।
বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গতকাল বিবিধ খাতের ১৩ কোম্পানির মোট লেনদেন অবদান ছিল প্রায় ১৬ শতাংশ। সারা দিনই এ খাতের কোম্পানিতে আগ্রহ দেখা যায় বিনিয়োগকারীদের। ফলে দর বাড়ে এ খাতের ১০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। সবচেয়ে বেশি দর বাড়ে এ খাতের জিকিউ বলপেনের শেয়ারের। দিন শেষে এই কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দর বাড়তে দেখা যায় ১২ টাকা ৪০ পয়সা করে। যদিও এই কোম্পানির শেয়ার নিয়ে বাজারে কারসাজির গুঞ্জন রয়েছে। বিএসইসির নজরেও রয়েছে এই ধরনের কোম্পানি। এই কোম্পানিটি ছাড়া বিবিধ খাতের অন্যান্য সব কোম্পানির শেয়ারদর সন্তোষজনকহারে বাড়তে দেখা যায়।
গতকাল লেনদেনে বিবিধ খাতের কোম্পানি ছাড়া টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানিরও বেশ আধিপত্য দেখা যায়। দিন শেষে মোট লেনদেনে এই খাতের দুই কোম্পানির অবদান দেখতে পাওয়া যায় চার দশমিক ৩২ শতাংশ। অন্যদিকে গতকাল সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রির চাপ দেখা গেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে, যে কারণে গতকাল দিন শেষে এই খাতের প্রায় অর্ধেক কোম্পানির শেয়ারদর কমতে দেখা গেছে।
এদিকে আগের কার্যদিবসে সূচকের পতন দেখা গেলেও গতকাল সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। গতকাল দিন শেষে ডিএসইর প্রধান বাড়তে দেখা গেছে ১৯ পয়েন্ট। লেনদেন শেষে সূচক স্থির হয়েছে চার হাজার ৭৮১ পয়েন্টে। সূচক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গতকাল লেনদেনও কিছুটা বাড়তে দেখা যায়। দিন শেষে মোট ৭৮৬ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হতে দেখা যায়, আগের কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল ৭২৯ কোটি টাকা।
অন্যদিকে গতকাল ব্লক মার্কেটে মোট ৪৪ কোটি টাকা ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হতে দেখা যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার কেনাবেচা হয় ইবনে সিনার। এই কোম্পানিটি গতকাল মোট ৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে। এই কোম্পানিটি ছাড়াও গতকাল ব্লক মার্কেটে আরও ২৯টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়।