নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বিবিধ খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৯ কোটি ৯৩ লাখ সাত হাজার ৬৪টি শেয়ার ২৫৮ কোটি আট লাখ ৭৮ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ছয় দশমিক ২৩ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ কমেছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৬ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৬ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৫ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৬ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ২৭ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৭৬ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ পাঁচ হাজার ২৬৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট ৮৭ কোটি ৬৩ লাখ ১৮ হাজার ৮৭৯টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ২০ দশমিক ১৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২০ দশমিক ৯০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী সাত দশমিক ৭২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫১ দশমিক ২৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত ১৫ দশমিক ৯৫ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২৯ দশমিক ৫৫।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৬৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৯ টাকা ৮৩ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা হয়েছিল ১৪২ কোটি ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। ২০১৮ সালে কোম্পানির ইপিএস হয়েছিল এক টাকা ৫৫ পয়সা আর এনএভি দাঁড়িয়েছিল ৭৩ টাকা ৪১ পয়সা। ওই সময় মুনাফা করেছিল ১২৯ কোটি এক লাখ ৩০ হাজার টাকা।
এদিকে তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০ শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪২ পয়সা। ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৯ টাকা ৪৬ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ৬৯ টাকা ৮৩ পয়সা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির এক কোটি ৯২ লাখ ৮৪ হাজার ৬৬৬টি শেয়ার ২১২ কোটি ৬০ লাখ ৯১ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক ১৩ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর তিন দশমিক ১৩ শতাংশ কমেছে।