জুলাইয়ে কমল কৃষিঋণ বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সদ্য শুরু হওয়া অর্থবছরের (২০২০-২১) প্রথম মাস জুলাইতে কৃষি বিতরণ কমেছে একক মাস হিসেবে কমেছে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। অবশ্য গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাংকাররা বলছেন, বছরের এ সময়ে কৃষিঋণের চাহিদা কম থাকে। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। বছর শেষে কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হতে সমস্যা হবে না।

জানা গেছে, জাতীয় বাজেট ঘোষণার পরে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য কৃষি ও পল্লিঋণ বিতরণে ২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা গত অর্থবছরের তুলনায় আট দশমিক ৯৯ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ করেছে এক হাজার ৫০৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। গত জুন মাসে বিতরণ করা হয়েছিল চার হাজার ১৯৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। তবে গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে চলতি বছরের জুলাইতে বিতরণ বেড়েছে প্রায় ৫৪ দশমিক ৪০ শতাংশ।

জানা গেছে, বিতরণের সঙ্গে এ সময়ে কমেছে আদায়ও। গত জুনে ঋণ আদায় হয়েছিল দুই হাজার ৯৭৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। গত জুলাই শেষে আদায় হয়েছে দুই হাজার ২৭৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বর্তমানে এ খাতের বিতরণকৃত ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৮৩৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

ঋণ বিতরণের বিষয়ে ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, কৃষিঋণ চাহিদা মূলত মৌসুমনির্ভর। বর্তমানে নতুন ফসল রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকরা। পুরোনো ফসল তুলে ঋণ পরিশোধ করছেন। অনেক এলাকা বন্যাকবলিত। এ জন্য ঋণ চাহিদা তুলনামূলক কম। বন্যার পানি নামলেই বীজতলা থেকে চারা যাবে কৃষি জমিতে। তখনই সারসহ অন্যান্য প্রয়োজনে কৃষকের ঋণ চাহিদা তৈরি হবে। এ জন্য জুলাইয়ে ঋণ বিতরণ কম হয়েছে।

করোনাকালে কৃষিঋণ বিতরণ বৃদ্ধিতে বিশেষ সুদহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণ প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় মাত্র চার শতাংশ সুদে এ ঋণ নিতে পারবেন কৃষকরা। অবশিষ্ট পাঁচ শতাংশ সুদ সরকার ভর্তুকি হিসেবে দেবে। এ জন্য পাঁজ হাজার কোটি টাকার ঋণ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত অর্থবছরে কৃষি খাতে ২৪ হাজার ১২৪ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু বছর শেষে বিতরণ হয়েছিল ২২ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পাঁচ দশমিক ৬৯ শতাংশ কম।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০