পাট ও কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কাজ করার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈশ্বিক করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মহামারিতে দেশের সার্বিক রপ্তানি কমলেও পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই পাটপণ্যসহ কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে নতুন নতুন বাজার খোঁজার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত এক বছরে বিশেষ করে কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দেশের রপ্তানির কী অবস্থা হলোÑধারণা ছিল ম্যাসিভ ডিজাস্টার হবে। কিন্তু দেখা গেল এ সময়ে মাত্র ১৫ শতাংশ রপ্তানি কম হয়েছে। এতদিন আক্রান্ত হওয়ার পরও গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত করোনা-আক্রান্ত হওয়ার পরও মোট রপ্তানিতে গত বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ কম হয়েছে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কিন্তু জুটে আবার রপ্তানি অনেক বেড়ে গেছে। আমাদের জন্য এটা একটা নতুন দিগন্ত। এ সময়ে পাটপণ্যের রপ্তানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই মন্ত্রিসভা থেকে বিশেষ অবজারভেশন দেওয়া হয়েছে যে, বিশ্ববাজারে পাট ও কৃষিপণ্যের অবদান বাড়াতে হবে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, নতুন (২০২০-২১) অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ১০ কোটি ৩৫ লাখ মার্কিন ডলার আয় করেছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পাঁচ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি। অর্জিত এ রপ্তানি আয় গত অর্থবছরের জুলাই মাসের চেয়ে ৩৮ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি।

এছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ মোট ৮৮ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার আয় করে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাত শতাংশ বেশি এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে আট দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। ফলে দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে চামড়াকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে পাট ও পাটজাত পণ্য খাত।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০