নিজস্ব প্রতিবেদক : রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর আগে বিভিন্ন মেয়াদে সাহেদের ৫৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান শুনানি শেষে আট দিনের রিমান্ড আদেশ দেন।
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দিন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাহেদের আরও ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক এ আদেশ দেন।’
এর আগে গত ২৬ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানার পৃথক তিন মামলায় ও উত্তরা পূর্ব থানার এক মামলায় ১০ দিন করে মোট ৪০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক প্রত্যেক মামলায় ৭ দিন করে মোট ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ১৬ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানার প্রতারণা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৫ জুলাই ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পরই তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল তারা। র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পায়। একদিন পর গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে র্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওইদিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।