নিজস্ব প্রতিবেদক: আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ (বিডি) ওয়েল্ডিং ইলেকট্রোডস লিমিটেড ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর কমার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১০ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ৮২ লাখ ৯৭ হাজার ২৫০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে তিন কোটি ৩১ লাখ ৮৯ হাজার টাকার শেয়ার।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি এক শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে আট পয়সা (লোকসান) এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৬১ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ পয়সা (লোকসান)। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় অনলাইনে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
তবে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৬ পয়সা (লোকসান) এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৬৯ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪১ পয়সা (লোকসান)।
কোম্পানিটি ১৯৯৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ আট কোটি ৭৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট চার কোটি ২৯ লাখ ২০ হাজার ১০৪টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩১ দশমিক শূন্য এক শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দুই দশমিক ৮৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক ৬৯ শতাংশ বা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৩ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। যার সর্বশেষ দর ছিল ২৩ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে চার লাখ ৩৪ হাজার ৫২৫টি শেয়ার মোট ৫০৬ বার হাতবদল হয় যার বাজারদর এক কোটি চার লাখ ৫০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৪ টাকা ৬০ পয়সায় হাত বদল হয়। আর গত এক বছরে শেয়ারদর ১২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৩২ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে।
দর কমার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ‘এ’ ক্যাটেগরির সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড। আলোচিত সময়ে ফান্ডটির ইউনিটদর কমেছে ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ফান্ডটির প্রতিদিন গড়ে দুই কোটি ৪৯ লাখ ৩৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৯৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকার শেয়ার।
তৃতীয় স্থানে অবস্থানে ছিল ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানি ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে সাত দশমিক ৮৮ শতাংশ। কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ৩৪ লাখ ১৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে এক কোটি ৩৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকার শেয়ার।
সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষ চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে ছিল যথাক্রমে ‘এ’ ক্যাটেগরির বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং ‘বি’ ক্যাটেগরির ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।