## প্রতিটি কর অঞ্চলে হবে আলাদা বুথ
## কর সার্কেলে মিলবে ওয়ানস্টপ সেবা
নিজস্ব প্রতিবেদক: ১০ বছর পর প্রথমবার আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। করোনা সংক্রমণ রোধে মেলা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে মেলার আবহে কর অঞ্চল ও সার্কেলে কর সেবা সপ্তাহ পালন করা হবে। যাতে করদাতারা রিটার্ন দাখিলসহ সব ধরনের সেবা পাবেন। সম্প্রতি এনবিআরের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এনবিআর সূত্র জানায়, প্রতিবছর যত আয়কর রিটার্ন দাখিল হয় তার মধ্যে চতুর্থ দাখিল হয় আয়কর মেলায়। কর মেলার জন্য সাধারণ করদাতারা অপেক্ষায় থাকেন। মূলত কর মেলায় কোন ঝামেলা ছাড়া এবং উৎসবমুখর পরিবেশে রিটার্ন দাখিল, কর পরিশোধ করতে পারেন। সেজন্য করদাতাদের কাছে মেলা জনপ্রিয়।

সূত্র জানায়, ২৯ আগস্ট এনবিআরে নিয়মিত বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আয়কর নিয়ে আলোচনা হয়। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম মেলার বিষয়ে আয়কর সদস্যদের মতামত জানতে চান। সব শেষে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে বড় পরিসরে আয়কর মেলা আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত দেন। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে এনবিআর নির্দেশনা জারি করতে পারে।
সূত্র আরো জানায়, প্রতিবারের মতো এবারও অফিসার্স ক্লাবে ছোট পরিসরে মেলার তাবু করা হবে। সেখান থেকে করদাতারা রিটার্ন জমা দেয়ার সার্কেলের ঠিকানা, ফরম, চালান, আয়কর ফরম পূরণের নির্দেশিকাসহ যাবতীয় সেবা পাবেন। আর কর অঞ্চলগুলো নিজ নিজ অফিসের নিচে প্যান্ডেল টাঙিয়ে বা অফিসে নির্ধারিত স্থানে বুথ স্থাপন করে আলাদাভাবে রিটার্ন জমার ব্যবস্থা করবে। সেই বুথে রিটার্ন জমা নেয়া হবে। কর পরিদর্শকসহ সব অফিসারদের মেলার মতো করদাতাদের সেবা দিতে কঠোর নির্দেশনা দেবেন এনবিআর চেয়ারম্যান। এক্ষেত্রে কোন গাফিলতি বা হয়রানি প্রমাণ পাওয়া গেলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সভায় উপস্থিত একাধিক সদস্য শেয়ার বিজকে জানিয়েছেন, মেলায় জনসমাগম হবে। এতে করদাতার পাশাপাশি কর্মকর্তাদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়তে পারে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ বছর আয়কর মেলা হচ্ছে না। কিন্তু মেলার পরিবেশে যাতে করদাতারা সার্কেল অফিসে রিটার্ন দিতে পারে সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই কমিশনারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি করদাতাদের রিটার্ন পূরণে পর্যাপ্ত জায়গা ও তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করতে বলা হয়েছে।
এনবিআর সূত্র জানায়, ২০১০ সালে সর্বপ্রথম এনবিআর আয়কর মেলার আয়োজন করে। শুরুতে তেমন সাড়া না পাওয়া গেলেও কালের পরিক্রমায় আয়কর মেলা ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। প্রতি বছরই করদাতাদের বড় অংশ মেলায় রিটার্ন দিয়ে থাকেন। ঢাকা ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত মেলা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। গত বছর বিভাগীয় পর্যায়ে ৭ দিন, জেলা পর্যায়ে ৪ দিন ও উপজেলা পর্যায়েও আয়কর মেলার আয়োজন করা হয়। আর মেলা থেকে ২ হাজার ৬১৩ আয়কর আদায় হয়। মোট রিটার্ন জমা দেন ৬ লাখ ৫৫ হাজার করদাতা। সেবা গ্রহণ করে ১৮ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮৭ জন।
###