কাঁচা পাট রপ্তানি বন্ধের আবেদন দুই সংগঠনের

নিজস্ব প্রতিবেদক: গেল বছরের চেয়ে চলতি বছর পাটের উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় কাঁচা পাট রপ্তানি বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছে বেসরকারি পাটকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুট মিল অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ) ও বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএসএ)। একইসঙ্গে পাটশিল্প বাঁচাতে প্রতি টন কাঁচা পাট রপ্তানির ওপর ২৫০ ডলার শুল্কারোপের সুপারিশ করেছে সংগঠন দুটি।

গতকাল রাজধানীর লেকশোর হোটেলে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ অনুরোধ জানানো হয়। একইসঙ্গে সংগঠন দুটি আনকাট বাংলা তোশা রিজেকশন (বিটিআর) ও বাংলা হোয়াইট রিজেকশন (বিডব্লিউআর) জাতের পাট রপ্তানি বন্ধের অনুরোধ করেছে।

আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন বিজেএমএ’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী ও বিজেএসএ’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহিদ মিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে বিদ্যমান পাটকলের সংখ্যা ২৫৯টি। এ পাটকলগুলো পরিচালনায় বছরে প্রয়োজন হয় ৬০ লাখ বেল কাঁচা পাট। বেসরকারি এ শিল্প খাতে কর্মরত আছেন দুই লাখ শ্রমিক। পরোক্ষভাবে এ শিল্প খাতে চার কোটি মানুষের কর্মসংস্থান। বছরে প্রায় ছয় দশমিক ৭০ লাখ টন পাটপণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করে পাঁচ হাজার ২০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। মোট পাটপণ্য উৎপাদন হয় সাত লাখ ৪০ হাজার টন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, এবারের বন্যা ও খরায় পাটের উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রতি বছর ৭৫ লাখ বেল পাট উৎপাদন হলেও এ বছর ৫৫ লাখ বেলের বেশি উৎপাদন হবে না। এ অবস্থায় কাঁচা পাট রপ্তানি হলে এই শিল্প সংকটে পড়বে।

এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সরকার যদি দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে উত্থাপিত সুপারিশ দুটি বাস্তবায়ন করে তাহলে দেশের পাটশিল্প বর্তমান পরিস্থিতি উঠে আসতে পারবে। দেশের অর্থনীতিতে আগের মতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে। অন্যথায় পাটশিল্প বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান ফারিয়ান ইউসুফ, পরিচালক নাজমুল হক, পরিচালক মৃধা মনিরুজ্জামান, জেনারেল সেক্রেটারি শহীদুল করিম ও সদস্য কাজী ইনাম আহমেদ।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০