নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘এমটিসি গ্লোবাল (ম্যানেজমেন্ট টিচার্স কনসোর্টিয়াম গ্লোবাল) অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স-২০২০’ পেলেন নারী উদ্যোক্তা ড. নাদিয়া বিনতে আমিন। তিনি নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন ওমেন এন্ট্রেপ্রিনিয়ার্স নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (ওয়েন্ড) এর প্রেসিডেন্ট।
নারী উদ্যোক্তাদের অধিকার আদায় ও নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে বিশেষ অবদান রাখায় ভারত ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন এমটিসি গ্লোবাল ‘আউটস্টান্ডিং ওমেন এন্টারপ্রেনার ২০২০’ ক্যাটাগারিতে ‘এমটিসি গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ২০২০’ এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। আজ ১২ সেপ্টেম্বর ১০ম ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যান্ড অ্যাওয়ার্ড সিরোমনি-তে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এবছর বাংলাদেশ থেকে তিনি একাই এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, এমটিসি গ্লোবাল উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি আন্তর্জাতিক থিংক ট্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করে থাকে। ২০১০ সাল থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দশ জন করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করে আসছে। ড. নাদিয়া বিলতে আমিন ২৫ বছরের অধিক কাল যাবত বিপনন ও সামাজিক গবেষণাধর্মী ব্যবসার সাথে জড়িত। এছাড়াও তিনি ট্রেডিং, রিটেল, বিমা শিল্পের সাথে জড়িত।
ড. নাদিয়া বিনতে আমিন একাধারে বিয়াস এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী, বেস্ট লাইফ ইনস্যুরেন্সের পরিচালক, তারা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, আরসিএস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ওমেন এন্টাপ্রিনিওয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (উইভ)-এর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট।

ড. নাদিয়া বিনতে আমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এর আগেও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের গবেষণাভিত্তিক কাজ করেন তিনি। পরে নিজেই কিছু করার উদ্যোগ নেন। চার বন্ধু মিলে ১৯৯৩ সালে রিসার্চ অ্যান্ড কম্পিউটিং সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড (আরসিএস) নামে একটি গবেষণা সংস্থা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। সামাজিক গবেষণা ছাড়াও মার্কেট রিসার্চ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। ইউনিসেফ, ওয়ার্ল্ড ভিশন, ইউএসআইডি, এসএমসি, এইচআরসির জন্য কাজ করে তারা। কিছু দেশি ও বিদেশি সংস্থার ইভেন্ট পরিচালনাও করেছে আরসিএস।

নারীকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে দেশে নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং উদ্যোক্তাদের সহায়তায় কাজ করছে ওয়েন্ড। সংগঠনটি সারাদেশে নারী উদ্যোক্তাদের থিউরিটিক্যাল সাপোর্ট এর পাশাপাশি ট্রেড লাইন্সেস প্রাপ্তি, ই-টিআইএন ও ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়া, ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পণ্য বাজারজাতকরণে সহায়তা, টেকনোলজি বিষয়ে সাপোর্ট দেওয়া, নারীর ক্ষমতায়নে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলাসহ নানা কাজ করে আসছে।
###