নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ পুঁজিবাজার উন্নয়নে এক সঙ্গে কাজ করেছে, যার ফলে পুঁজিবাজার আজকের এই গৌরবময় অবস্থানে পৌঁছেছে। দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জেরই উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন আর তা হলো পুঁজিবাজার উন্নয়ন। এমন মন্তব্য করেছেন ডিএসই চেয়ারম্যান ড. আবুল হাশেম।
গতকাল চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ড. এ কে আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আবুল হাশেম বলেন, পুঁজিবাজার তথা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে যে কোনো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড যৌথভাবে প্রস্তাবনা দেওয়া হলে তার গুরুত্ব অনেকাংশে বৃদ্ধি পায় এবং বাস্তবায়নের গতিও বৃদ্ধি পায়। এতে পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। পরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মতিন পাটওয়ারী এফসিএমএ আগামী তিন অর্থবছরের জন্য উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের শতভাগ কর মওকুফ সুবিধা, উভয় এক্সচেঞ্জের ৬০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি থেকে এককালীন মূলধনি আয়ের ওপর কর অবকাশ সুবিধা, তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির করপোরেট করহারের ব্যবধান কমপক্ষে আরও ১০ শতাংশে বৃদ্ধি করা, নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য কমপক্ষে তিন বছর কর অবকাশ সুবিধা, ৫৩ বিবিবি ধারায় করহার শতকরা ০.০৫ থেকে কমিয়ে ০.০১৫ করা, করমুক্ত লভ্যাংশ আয় ২৫ হাজার টাকা থেকে এ লাখ টাকায় উন্নীত করা, সরকারি কোম্পানি এবং আরও অধিকসংখ্যক ভালো কোম্পানির শেয়ার পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার উদ্যোগ, ট্রেডিংয়ের সময় বৃদ্ধিকরণ, স্বল্প মূলধনি বোর্ড চালুকরণসহ বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ সাইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ, এফসিএমএ পুঁজিবাজার তথা সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন। যার মধ্যে রয়েছে দেশি শিল্প রক্ষা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প রক্ষা, আগামী জাতীয় বাজেটে পুঁজিবাজার উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট ও কৌশলগত দিকনির্দেশনার উপস্থিতি এবং স্বল্প, মধ্য, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন ইত্যাদি।
এছাড়াও যৌথভাবে ট্রেডিং সফটওয়্যার তৈরি, ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য আর্থিক প্রণোদনা প্রদান, সামগ্রিক বাজার উন্নয়নে পণ্যের বৈচিত্র্যতা আনয়নের মাধ্যমে বাজারকে গতিশীল করা, ব্রোকারেজ হাউজগুলোর নতুন শাখা খোলার অনুমোদন, ডে-ট্রেডিং এবং বাজার উন্নয়নের কাজ করার জন্য উভয় এক্সচেঞ্জের সমন্বয়ে যৌথ কমিটি গঠনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সিএসই চেয়ারম্যান ড. এ. কে. আবদুল মোমেন বলেন, বর্তমানে দেশে উন্নয়নের মহোৎসব চলছে এবং সে প্রেক্ষাপটে পুঁজিবাজারের প্রসারতা বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। সবার সহযোগিতায় পুঁজিবাজারের উন্নয়নের এ সুযোগ কাজে লাগানোর বিষয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সিএসই প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শামিম চৌধুরী, এনডব্লিওসি, পিএসসি (অব.), অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, এফসিএমএ, মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম এবং ডিএসইর পক্ষে পরিচালক বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া, মিসেস মনোয়ারা হাকিম আলী, ওয়ালিউল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. এম কায়কোবাদ, অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান, মো. রকিবুর রহমান, মো. শাকিল রিজভী, শরীফ আতাউর রহমান ও মো. হানিফ ভূঁইয়া।
Add Comment