শেখ মোহাম্মদ রতন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হওয়ার দুইদিন পর আবারও ফেরি চলাচল অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউএর ঘাট কতৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসি’র সহ-ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পদ্মায় নাব্যতা সংকটের কারণে রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এ রুটে সকল ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় ঘাট কর্তৃপক্ষ। এর আগে সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল করছিল। তবে ফেরি ছাড়া লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, পদ্মা নদীর বিরূপ আচরণের কারণে মাঝ পদ্মায় অসঙ্খ ডুবোচরের কারণে এ রুটে ফেরি চলাচল করা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। এর পর গত ৩ সেপ্টেম্বর নাব্য সংকটের কারণে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয় ফেরি চলাচল। কয়েকদিন ড্রেজিং করে সচল করা হয় ফেরি চলাচলের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের চ্যানেলটি। পরে আবারো সেখানে বালু পরে বিশাল ডুবোচরের সৃষ্টি হলে রোববার রাত ৯ টার দিকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষনা হয়।
শনিবার পর্যন্ত ১ ও ২ নম্বর ঘাট দিয়ে কে টাইপ ও মিডিয়াম টাইপের ৫টি ফেরির মাধ্যমে যানবাহন পারাপারের ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এবার তাও বন্ধ হয়ে গেল।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) হেলাল উদ্দিন জানান, ‘দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শুক্র ও শনিবার ৪টি ফেরির মাধ্যমে যানবাহন পারাপার করা হয়েছে। কিন্তু সকালে একটি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন লোড নিয়ে ঘাট থেকে কাঠালবাড়ীর উদ্দেশে রওনা হয়। পথিমধ্যে লৌহজং টার্নিং চ্যানেলে আবারও নাব্য সংকটের কারণে চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও ছোট বড় দেড় শতাধিক যানবাহন রয়েছে।
এদিকে, বিআইডব্লিউটি’র পরিদর্শক মোহাম্মদ সোলেমান জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ ও তিন শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র সহ-ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ আরো জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হবে তা বলা যাচ্ছে না।