নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের আবেদন গ্রহণ শুরু হবে আগামী ৮ জানুয়ারি, যা চলবে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও ওয়াশিং প্লান্ট ভবন নির্মাণের জন্য পুঁজিবাজার থেকে টাকা উত্তোলন করবে বস্ত্র খাতের এ কোম্পানি। এ লক্ষ্যে কোম্পানিটিকে গত ১৫ নভেম্বর আইপিওর অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যু করে দুই কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। উত্তোলিত টাকা দিয়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও ওয়াশিং প্লান্ট ভবন নির্মাণ, সম্প্র্রসারণ, মেশিন ও সরঞ্জামদি ক্রয়, ইটিপি সম্প্রসারণ এবং আইপিও বাবদ ব্যয় করবে।
গত ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানি শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করেছে এক দশমিক ৪৪ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ১৮ দশমিক ৭০ টাকা। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে আলফা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ শেফার্ড গ্রুপের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। এ গ্রুপের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে শেফার্ড ইয়ার্ন লিমিটেড (এসওয়াইএল), শেফার্ড টেক্সটাইল বাংলাদেশ লিমিটেড ও তাইওয়ান ফুড প্রসেসিং লিমিটেড। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় এক হাজার ২০০ শ্রমিক কাজ করছেন। এর মধ্যে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজে রয়েছেন ৬০০ কর্মকর্তা ও শ্রমিক।
২০০০ সালে উৎপাদন শুরু করা এই কোম্পানির প্রধান পণ্য হলো : অ্যাক্রাইলিক তুলা, অ্যাক্রাইলিক উড, পিস ডাইং ও গার্মেন্ট ওয়াশ। কারখানায় উৎপাদনরত রয়েছে ১৪৩টি মেশিন, যার প্রতিদিন উৎপাদন সক্ষমতা (কটন ও কটন মিক্স) ৫০ হাজার পাউন্ড (এলবিএস)। গার্মেন্ট ওয়াশের সক্ষমতা রয়েছে দৈনিক ৫০ হাজার পিস।
ময়মনসিংহের ভালুকা পৌরসভায় শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানা। কোম্পানিটির প্রধান গ্রাহক ওয়ালমার্ট, প্রাইমার্ক, সিঅ্যান্ডএ, এইচঅ্যান্ডএম, টেসকো ও জিএপিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। শেফার্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন উইনস্টোন কাও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন চিই চিন হুই।
Add Comment