‘১০ কিংবা ১০০’ ফেসবুক লাইকে কি আসে যায়!

রাতে ডিনার করার জন্য কয়েকজন বন্ধু একসাথে মিলিত হয়েছে। সবাই এখন চাকরিজীবী। অনেকদিন পর গেট টুগেদার। সবাই অনেক আনন্দ করবে, এরকমই ছিল পরিকল্পনা। কিন্তু বাস্তবতা ছিল কিছুটা ভিন্ন। কারণ কিছু সময় হাই-হ্যালো করার পরেই যে যার স্মার্টফোন বের করে ফেসবুকিং করা শুরু করল। নিজেদের মধ্যে তেমন কোন কথা নেই। সবাই স্ক্রীন স্ক্রলিং করেই চলছে। অহেতুক একই জিনিস বারবার দেখা, কোন সময়ে নোটিফিকেশন আসবে কিংবা এসেছে, কোন পোস্টে কতটা লাইক পড়েছে, কে কে লাইক দিয়েছে এই দেখা নিয়ে সবাই ব্যস্ত। সবচেয়ে মজার ব্যাপার খাবারের সময়ও অনেকে ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত ছিল। এই গ্রুপটার মধ্যে একজনের শুধু ফিচার ফোন ছিল। তার কাছ থেকেই ঘটনাটা শোনা। অবশ্য বিষয়গুলো সবার কাছে খুবই পরিচিত হয়ে গেছে।

দুই মিনিটের জন্য পকেটে মোবাইল রাখতে পারেনা, আবার বের করে। সেই ফেসবুক স্ক্রলিং। ফেসবুকের ব্যবহার অনেকের কাছে আসক্তির মতো দাঁড়িয়েছে। যে মানুষগুলো বোঝেনা তাদেরকে হয়তো বোঝানো যায় কিন্তু সব বোঝার পরেও যারা কারণ ছাড়া ফেসবুকে সারাক্ষণ বুঁদ হয়ে পড়ে থাকে, তাদেরকে বোঝানো সম্ভব না। নিজেদের উদ্যোগ নিজেদেরকেই নিতে হবে।

বর্তমান সময়ে অনেকের ফেসবুক পুরোপুরি উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। এজন্য যার যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু সময় ফেসবুক ব্যবহার করুন। ফেসবুক ছাড়াও অনলাইনে আরো অনেক কিছু করার আছে। আমরা সৃজনশীল অনেক কিছু শিখতে পারি, ই-বুক পড়তে পারি, নিজেদের স্কীল ডেভেলপ করতে পারি, ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিষয় আছে। সময় যদি কম্পিউটার কিংবা মোবাইলে কাটাতেই হয় তাহলে তার একটা ভবিষ্যত চিন্তা করেই কাটানো ভালো। এতে আপনার একটা প্রাপ্তি থাকবে। নিজেদের সময় কে মূল্যবান হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।

আপনার একটা পোস্টে ‘১০ নাকি ১০০’ লাইক পড়লো, এতে কিন্তু আপনার কোন প্রাপ্তি নাই। ভার্চুয়াল জগতের মায়াজাল থেকে বের হয়ে আসুন।

লেখক-রিয়াজুল হক, যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০