লেনদেনের ৩৮ শতাংশই বিমা কোম্পানির

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: টানা চার কার্যদিবস পতনের পর গতকাল নামমাত্র সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন শেষ হয়েছে। দিনের শুরুতে সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূচকের নিন্মমুখী প্রবণতা দেখা যায়। পরে আবারও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হয় সূচক। তবে তা সন্তোষজনক ছিল না। ফলে দিনশেষে সূচক বৃদ্ধি মাত্র দুই পয়েন্ট। এর মধ্যে দিয়ে সূচক স্থির হয় চার হাজার ৯৭২ পয়েন্টে।

এদিকে গতকাল লেনদেন একক আধিপত্য দেখিয়েছে বিমা খাত। সকাল থেকে বিনিয়োগকারীদের একচেটিয়া আধিপত্য ছিল এই খাতের কোম্পানির শেয়ারে। সারা দিনই ক্রেতাদের ভিড় ছিল এই খাতের কোম্পানির শেয়ারে। এ কারণে দ্রুতই খাতটির বেশিরভাগ কোম্পানিতে বিক্রেতাস্বল্পতা দেখা দেয়, যার জের ধরে দরও বাড়তে থাকে এ সব শেয়ারের। দিন শেষে এই খাতের তালিকাভুক্ত ৪৮টি কোম্পানির মধ্যে ৪৬টিরই দর বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। দর হ্রাস পায় এশিয়া ইন্স্যুরেন্স এবং জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের। মোট লেনদেনেও সবার শীর্ষে ছিল এই খাতটি। গতকাল দিন শেষে মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় প্রায় ৩৮ শতাংশ।

অন্যদিকে গতকাল লেনদেনে বিমা খাতের পরের অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। তবে তা বিমা খাতের চেয়ে অনেক কম। দিন শেষে মোট লেনদেনে এই খাতটির অবদান ছিল ১৪ শতাংশের কিছু বেশি। পরের অবস্থানগুলোয় ছিল আর্থিক ও প্রকৌশল খাত। এ ছাড়া অন্য খাতগুলোর শেয়ারে উল্লেখযোগ্য হারে লেনদেন চোখে পড়েনি। তবে মিউচুয়াল ফান্ড থেকে গতকাল অনেক বিনিয়োগকারীকে মুনাফা তুলতে দেখা গেছে। কিন্তু লেনদেনে বেশি এগাতে পারেনি এই খাতটি। কারণ দর আরও বাড়বে এমন মনোভাব দেখিয়ে অনেকেই পোর্টফোলিওতে থাকা ইউনিট বিক্রির আদেশ প্রত্যাহার করে নেন। আগের কার্যদিবসে মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান ছিল ১০ শতাংশের বেশি। গতকাল তা পাঁচ দশমিক ৩৯ শতাংশে নেমে আসে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে লেনদেন কিছুটা বাড়তে দেখা গেছে। গতকাল ডিএসইতে মোট ৮৮১ কোটি টাকার মিউচুয়াল ফান্ড এবং কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হতে দেখা যায়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হতে দেখা যায় ২৩ কোটি টাকার শেয়ার। গতকাল এই মার্কেটে মোট ১৯টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০