আবার বাড়ল ব্যাংকের কিস্তি পরিশোধে অব্যাহতির মেয়াদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আবারও বাড়ানো হলো সব ধরনের ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময়। করোনা মহামারিতে চলতি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ সময় বাড়ানো হয়েছিল। এ সময় পর্যন্ত কোনো ঋণ আদায় না হলেও সেটিকে খেলাপির তালিকায় দেখানো যাবে না। এ মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে একটি সার্কুলারি জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো ওই সার্কুলারে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় ঋণ শ্রেণিকরণের বিষয়ে ১ জানুয়ারি ২০২০ থেকে ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সময়ে ওই ঋণ তদাপেক্ষা বিরূপ মানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। তবে কোনো ঋণের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা যথাযথ নিয়মে শ্রেণিকরণ করা যাবে। কভিড-১৯-এর কারণে অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় অনেক শিল্প, সেবা ও ব্যবসা খাত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং ঋণ গ্রহীতার ব্যবসার ওপর কভিড-১৯-এর নেতিবাচক প্রভাব সহনীয় মাত্রায় রাখার লক্ষ্যে ঋণ পরিশোধসূচি নির্ধারণ ও শ্রেণিকরণের নীতিমালা নির্ধারণ করা হয়।

কোনো গ্রাহক কর্তৃক স্বেচ্ছায় মেয়াদি ঋণ (স্বল্পমেয়াদি কৃষিঋণ ও ক্ষুদ্রঋণসহ) কিস্তি পরিশোধ এবং চলতি ও তলবি ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ব্যাংক কর্তৃক যৌক্তিক রিবেট সুবিধা প্রদান করা যাবে। কিস্তি পরিশোধের জন্য বর্ধিত সময়ের সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের ওপর আরোপিত সুদ আয় খাতে স্থানান্তরকরণ এবং ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের বিষয়ে পরে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০