মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: কয়েকদিন টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গতকাল কিছুটা নি¤œমুখী হয়েছে পুঁজিবাজার। বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী গতকাল মুনাফা তোলার কারণেই মূলত এমন ঘটনা ঘটেছে।
গতকালেরর বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সকালে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। তবে এ চিত্র বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। লেনদেন শুরুর কিছু সময় পরেই বাড়তে থাকে বিক্রয় আদেশ। ফলে বিক্রেতাদের চাহিদা কমতে থাকে। যে কারণে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং ইউনিটের দর কমতে থাকে। সারা দিনই ছিল একই ধরনের প্রবণতা। যার জের ধরে দিন শেষে ডিএসইর সূচক কিছুটা হ্রাস পায়।
গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক কমে ২১ পয়েন্ট। যে কারণে সূচক আবার পাঁচ হাজারের নিচে নেমে যায়। সূচক স্থির হয় চার হাজার ৯৮২ পয়েন্টে। একইভাবে লেনদেনও কিছুটা কমে যায়। গতকাল ডিএসইতে মোট ৮৫৩ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট কেনাবেচা হয়।
এদিকে গতকাল মোট লেনদেনের মধ্যে ৪৯ কোটি টাকার বেশি ছিল ব্লক মার্কেটের লেনদেন। এদিন ব্লক মার্কেটে মোট ৩০টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এ কোম্পানিগুলোর মোট এক কোটি ৭০ লাখ ৪৬ হাজার ৯০৩টি শেয়ার ১১১ বার হাত বদল হয়। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৪৯ কোটি ৩২ লাখ ৫৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৩ কোটি ৭৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এনসিসি ব্যাংকের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাত কোটি ৯৫ লাখ টাকার বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্লের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ সাত কোটি ৮৪ লাখ ৬২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে সিটি ব্যাংকের।
এদিকে খাতভিত্তিক লেনদেনে চোখ দিলে দেখা যায়, গতকাল মোট লেনদেনে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল বিমা খাতের। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় প্রায় ৩১ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। লেনদেনের শুরু থেকেই গতকাল এ খাতের শেয়ারে বিনিযোগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল। যে কারণে গতকাল এই খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে দেখা যায়। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দাঁড়ায় ১৩ শতাংশ। লেনদেনে একই করম অবদান (১৩ শতাংশ) ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের। এছাড়া আর্থিক এবং প্রকৌশল খাতেও বিনিয়োগকারীদের সন্তোষজনক আগ্রহ ছিল।