নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথম (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) ও দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিমা খাতের কোম্পানি রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪৯ পয়সা।
আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৬ পয়সা। ২০২০ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৪৬ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ১৫ টাকা ৪৯ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে এক টাকা ১৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ২৪ পয়সা লোকসান ছিল।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই দশমিক ৩৮ শতাংশ বা এক টাকা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৪১ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪১ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ৩২ লাখ ৩১ হাজার দুটি শেয়ার মোট দুই হাজার ৩৬৮ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ১৩ কোটি ৭৪ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৪ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৪৪ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি সাত শতাংশ নগদ ও সাত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা দুই পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৪৯ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৪১ পয়সা ও ১৪ টাকা ৮২ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা ২৪ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ২৮ পয়সা (লোকসান)।
‘এ’ ক্যাটেগরির বিমা খাতের কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৬ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির চার কোটি ৬৩ লাখ ৭২ হাজার ২৩০ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৬ দশমিক ৪১ শতাংশ শেয়ার।
