নিজস্ব প্রতিবেদক: অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানি গোল্ডেন সন লিমিটেডের। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত রোববার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে কোম্পানির প্রধান কার্যালয় ও কারখানা ভবনের চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে কারখানার ভবন, যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, অর্ধ-সমাপ্ত ও সমাপ্ত পণ্যসহ অন্যান্য সম্পদ ও কারখানার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ভবনের নিচতলার গুদাম ঘরে বিভিন্ন ধরনের পণ্য মজুত রাখা ছিল, যা কিনা দমকল বাহিনীর পানিতে প্লাবিত হয়। দমকল বাহিনীর প্রায় চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বর্তমানে কভিড-১৯ মহামারিতে সরকারের সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোম্পানিটির কারখানায় পুরোদমে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ১৯ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ আট টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল আট টাকা ৩০ পয়সা। দিনজুড়ে কোম্পানিটির দুই লাখ ৯১ হাজার ৭৭১টি শেয়ার মোট ১৮৩ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ২৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ আট টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ আট টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর চার টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১১ টাকায় ওঠানামা করে।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালে সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৯ পয়সা এবং ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৬২ পয়সা।
‘জেড’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৭১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮১ কোটি ২১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১৭ কোটি ১৭ লাখ ২৯ হাজার ৭৭২ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪১ দশমিক ৫৯ শতাংশ শেয়ার।
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪৫ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ২১ পয়সা (লোকসান)। প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০১৯-মার্চ, ২০২০) ইপিএস হয়েছে ৮৯ পয়সা লোকসান, আগের আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ৭৫ পয়সা লোকসান ছিল। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ১৮ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ২১ টাকা আট পয়সা। এছাড়া প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই ২০১৯-মার্চ ২০২০) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৪৩ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ২৬ পয়সা।