নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির এক কোটি ২৩ লাখ ৫৫ হাজার পাঁচটি শেয়ার ১৪৫ কোটি ১৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের তিন দশমিক ১৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর চার দশমিক শূন্য তিন শতাংশ কমেছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশ বা এক টাকা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১১৪ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১১৪ টাকা ৪০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১১৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১১৬ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৮৭৮টি শেয়ার মোট এক হাজার ৬৭৫ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ১৮ কোটি ৮৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৫২ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১২৭ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪০৫ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ২৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট ৪০ কোটি ৫৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪৪৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী ৩৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে সাত টাকা ৪৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭২ টাকা ৯৬ পয়সা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিবিধ খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির চার কোটি ৯২ লাখ ২৮ হাজার ৭৩৮টি শেয়ার ১২৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৭১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর তিন দশমিক ৪৭ শতাংশ কমেছে।
এরপরের অবস্থানে ছিল ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে ‘এন’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৩২৭টি শেয়ার ১১৬ কোটি এক লাখ এক হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৫২ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ছয় দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়েছে।
তালিকার চতুর্থ অবস্থানে থাকা কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সপ্তাহজুড়ে এক কোটি ৯৫ লাখ ৮৫ হাজার ৮৮০টি শেয়ার ৯৪ কোটি ৯৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৪১ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। আর এরপরের অবস্থানে থাকা এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সপ্তাহজুড়ে দুই কোটি ৬২ লাখ ৪০ হাজার ৯৩টি শেয়ার ৯৪ কোটি ৪৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ২২ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়েছে।