ক্রীড়া ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ‘টেস্ট কেস’ বা করোনাকালের পরীক্ষামূলক সিরিজ হিসেবে দেখছে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপকে। তারপরও সংস্থাটি একে আকর্ষণীয় করে তোলার সব চেষ্টাই করছে। তিনদলীয় সিরিজটি আয়োজনে কোনো পৃষ্ঠপোষক না নিলেও খেলোয়াড়দের আর্থিকভাবে অনুপ্রাণিত করতে চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপ দলের জন্য ১৫ লাখ টাকার প্রাইজমানি থাকছে।
এদিকে ম্যাচসেরা, টুর্নামেন্ট–সেরা, সেরা ব্যাটসম্যান কিংবা সেরা বোলারের জন্য আলাদা আর্থিক পুরস্কারও থাকছে। সব মিলিয়ে ২৫-৩০ লাখ টাকার পুরস্কার রাখা হচ্ছে খেলোয়াড়দের জন্য। এমনটাই জানিয়েছেন, বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
রোববার থেকে তামিম, মাহমুদউল্লাহ ও নাজমুল একাদশ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি নেবে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ রোমাঞ্চে। এ সিরিজকে বিসিবি দেখছে পরীক্ষামূলক সিরিজ হিসেবে। তারপরও এটি যেন একবারে প্রস্তুতি ম্যাচের মতো যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। এ ব্যাপারে নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘এটা যেহেতু আমাদের পরীক্ষামূলক সিরিজ, আসল প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক সিরিজের মতো হবে না। একেবারে প্রস্তুতি ম্যাচের মতো যেন না হয় তাই এটিকে আকর্ষণীয় ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে আমাদের কিছু উদ্যোগ থাকছে। আমরা খেলোয়াড়দের আর্থিকভাবে অনুপ্রাণিত করতে চাই।’
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তিন দল। যে কারণে আজ থেকে ক্রিকেটার থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফ ও কর্মকর্তা মিলে মোট ৬৩ জন ঢুকছে বিসিবির সুরক্ষা বলয়ে। স্বাভাবিকভাবেই এবার বিসিবির চ্যালেঞ্জটা অনেক বড়। তবে এই চ্যালেঞ্জ উতরে যেতে আশাবাদী বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, ‘কেউ পজিটিভ হলে চ্যালেঞ্জটা বেড়ে যায়। এখন পর্যন্ত যেহেতু পজিটিভ হয়নি তাই আমরা বেশ ভালো অবস্থায় আছি।’