নিজস্ব প্রতিবেদক: চীন থেকে নতুন ব্র্যান্ডের পিইটি শিট লাইন এবং পিইটি ট্রে তৈরির যন্ত্রপাতি আমদানি করবে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। নতুন যন্ত্রপাতি আমদানি ও স্থাপন করতে কোম্পানিটির প্রায় চার কোটি ৯২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ব্যয় হবে। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুরে অবস্থিত কোম্পানিটির বিস্কুট ও কনফেকশনারি কারখানায় পিইটি শিট এবং পিইটি ট্রে তৈরির জন্য যন্ত্রপাতি আমদানি করা হবে। পিইটি কো-এক্সট্র–শন শিট, এক্সট্র–শন লাইন সঙ্গে এক্সট্র–ডার, প্রিহিটিং সিস্টেম, মাস্টার ব্যাচ, ডোজিং ইউনিট, গ্লাস হিটার, এনকোডার মোটর, ইনভার্টার, টাচ স্ক্রিন প্রভৃতি আমদানি করতে কোম্পানির ব্যয় হবে তিন কোটি ৬৮ লাখ ১১ হাজার টাকা। পিইটি শিটে প্রতি ঘণ্টায় উৎপাদন ক্ষমতা ৪৮০ থেকে ৫০০ কেজি। এছাড়া সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় তিনটি স্টেশন, থার্মোফর্মিং মেশিন, ইলেকট্রিক লিফটার, ক্ল্যাম্পিং সিলিন্ডার, শিট ফিটিংসহ সার্ভো মোটর সঙ্গে ড্রাইভ শিট ফিডিং, ফর্মিং ও কাটিং, স্ট্যাকিং এবং ভ্যাকুম ইউনিট তৈরির জন্য এক কোটি ২৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয় করা হবে। নতুন এই যন্ত্রপাতি স্থাপনের মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০০ টন পণ্য উৎপাদন করতে পারবে কোম্পানিটি।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৬৪ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৬৬ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে ৫৪ হাজার ৭৪৬ শেয়ার মোট ২৯৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৯০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৬৩ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৬৮ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১২৮ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ২০৭ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৯ টাকা ৩৬ পয়সা, আর ২০১৯ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৯ পয়সা।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানিটি ৪৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করে আট টাকা ৯৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয় ৩১ টাকা ৫৩ পয়সা, আগের বছর একই সময় যা ছিল যথাক্রমে আট টাকা ২২ পয়সা ও ২৭ টাকা সাত পয়সা।
১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১৯৯ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫২১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮৬ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ২৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।