৭০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়বে মার্কেন্টাইল ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক: মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৭০০ কোটি টাকার পারপিচুয়াল বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে ওপেন-ইন্ড মিউচুয়াল ফান্ডে স্পনসর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, সম্প্রতি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ঝুঁকিভিত্তিক মূলধন বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকাগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাংকের ব্যাসেল-৩ কমপ্লায়েন্স সমর্থন করার জন্য অতিরিক্ত টায়ার-১ (এটি-১) এর অতিরিক্ত মূলধন হিসেবে এই বন্ড ইস্যু করবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে বন্ডটি ইস্যু করবে মার্কেন্টাইল ব্যাংক। একইসঙ্গে ব্যাংকটি ‘মার্কেন্টাইল ব্যাংক ইউনিট ফান্ড’ নামে একটি ওপেন-এন্ড মিউচুয়াল ফান্ডে ৫০ কোটি টাকা স্পনসর করবে। ফান্ডের কমপক্ষে ১০ শতাংশের গ্রাহক হবে ব্যাংকটি আর ফান্ডের অবশিষ্ট অংশ বাজার থেকে উত্তোলন করা হবে। এমবিএল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডকে উক্ত ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হবে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদনের পর তা কার্যকর হবে।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ২৪ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৫০ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ২১ টাকা ৭১ পয়সা। প্রথম দুই প্রান্তিক বা ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন, ২০২০) শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে তিন টাকা পাঁচ পয়সা, আগের বছর একই সময় ছিল তিন টাকা ১১ পয়সা।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১১ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৩৭ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৩৪ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে তিন টাকা ৫৯ পয়সা ও ২২ টাকা ৯১ পয়সা। ২০১৯ সালে মোট মুনাফা করে ২২২ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আগের বছরে যার পরিমাণ ছিল ২৯২ কোটি ২৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ডিএসইতে অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ১২ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১২ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজুড়ে দুই লাখ ৯৮ হাজার ৯৪৯টি শেয়ার মোট ৯৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিন্ম ১২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১২ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১০ টাকা থেকে ১৪ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়।

কোম্পানিটি ২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৮৪ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ১০৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ৯৮ কোটি ৪০ লাখ ১৬ হাজার ২১৭টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৮ দশমিক ৫২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে চার দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৩৭ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০