সাপ্তাহিক লেনদেনের তিন দশমিক ২০ শতাংশ

এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির এক কোটি ৮১ লাখ ৮৮ হাজার ৯২৯টি শেয়ার ১০৭ কোটি ৫৯ লাখ ৫৪ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের তিন দশমিক ২০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ২৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর সাত দশমিক ৩৭ শতাংশ বা চার টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৬৭ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৬৭ টাকা ৮০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির ৪১ লাখ সাত হাজার ২২২টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৩৭৩ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ২৭ কোটি ছয় লাখ ৮০ হাজার টাকা। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৬৩ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬৮ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১৬ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৬৮ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।

বিমা খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৭৪ পয়সা। আর ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৬৭ পয়সা।

১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট চার কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪২ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ২৫ দশমিক ১০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩২ দশমিক শূন্য আট শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে মূল্য আয় অনুপাতে ৩৮ দশমিক ৯৭ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২২ দশমিক ৪৫।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিমা খাতের কোম্পানি কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির এক কোটি ৭৬ লাখ ৩৫ হাজার ৩৪০টি শেয়ার ৯৫ কোটি ৫৪ লাখ ৩১ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৮৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর পাঁচ দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়েছে।

এরপরের অবস্থানে ছিল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির ৬৮ লাখ ৯৭ হাজার ৩৩২টি শেয়ার ৭৬ কোটি ৬৬ লাখ ৪২ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ২৮ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর তিন দশমিক ৪১ শতাংশ কমেছে।

কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪০৫ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ২৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির মোট ৪০ কোটি ৫৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪৪৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩১ দশমিক ৪১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী ৩৩ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১ দশমিক ৭৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে সাত টাকা ৪৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭২ টাকা ৯৬ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০