ধর্ষণের বিচার মৃত্যুদণ্ড করা ভাঁওতাবাজি: আলাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : ধর্ষণের বিচার মৃত্যুদণ্ড করা একটা ভাঁওতাবাজি। একজন আইনজীবী হিসেবে বলি, এই সরকার ২০১৩ সালে যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন পাস করেছিল, সে আইনের ৩৪টি ধারার মধ্য ১২টি ধারায় মৃত্যুদণ্ড আগে থেকেই ছিল। সেখান থেকে মানবপাচার-সংক্রান্ত আইন ও এসিড নিক্ষেপ আইনের পাঁচটি ধারা আগে চলে গেছে। এরপর বাকি থাকে সাতটি। সেই সাতটি ধারার সঙ্গে নতুন একটি ধারা মৃত্যুদণ্ড যুক্ত করা হয়েছে।

গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়া পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল একথা বলেন। 

আলাল বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর কীভাবে দিনের পর দিন মিডিয়াতে প্রকাশ্যে বলেন, ‘আমাকে এই পদ

থেকে সরিয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান বানালে আমি খুশি।’ ঢাবির ভিসির সমালোচনা করে তিনি বলেন, একজন ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর তার সঙ্গে দেখা করে এসে সাংবাদিকদের বলেন, তার জীবনে একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। 

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সমালোচনা করে আলাল বলেন, তিনি ১২ মাসের সাড়ে ১১ মাস ঢাকায় থাকেন। সেখানে যে বাংলো সেখানে থাকেন না, অন্য এক জায়গায় থাকেন। বাংলোর ভাতাও নেন, আবার যেখানে থাকেন সেখানকার ভাড়াও নেন।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সমালোচনা করে তিনি বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে দেখবেন লেখা আছে, রাজনীতিমুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু যুবলীগের ১৯ নম্বর প্রেসিডিয়াম সদস্য হলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি।

প্রফেসর আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম, জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, প্রফেসর ড. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০