নিজস্ব প্রতিবেদক: আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (বিডি ফাইন্যান্স) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর কমার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১২ কোটি ১৮ লাখ ২২ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ৯১ লাখ ১১ হাজার টাকার শেয়ার।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ বা দুই টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৩ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৩ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে ৩২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৭০ শেয়ার ৮১৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর সাত কোটি ৫৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৩ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ছয় টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২৮ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৫৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯ পয়সা লোকসান। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ৬৪ পয়সা। মূলত শেয়ারে বিনিয়োগ থেকে ক্যাপিটাল গেইন হওয়ায় ইপিএস বেড়েছে।
আর প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২০) ইপিএস হয়েছে এক টাকা দুই পয়সা, আগের বছর ছিল ১৪ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৩৯ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ১৬ টাকা ৩৭ পয়সা। তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা ৯৮ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ২৭ পয়সা (লোকসান)।
কোম্পানির ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৬৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে।
কোম্পানির মোট ১৬ কোটি ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৬০৮ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ দশমিক ৩২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং বাকি ৫৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ১২ দশমিক ৮৬। আর অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৭ দশমিক ৫০।