প্রায়ই নানা ভাষায় নানা শব্দ যোগ হয়। শব্দগুলোর ব্যাকরণগত শ্রেণিবিন্যাসও করা হয় তখন। বিশেষ করে শব্দটি স্ত্রী, পুরুষ, নাকি ক্লীব তা বিবেচনায় আনা হয়।
ইউরোপিয়ান দেশগুলোর ভাষার বেলায় এ প্রভাব লক্ষ করা যায়। সেখানে নামবাচক শব্দের বেলায় জেন্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ‘ইন্টারনেট’ শব্দটিও এর ব্যতিক্রম নয়। শব্দটি এসেছে স্প্যানিশ ‘এল ইন্টারনেট’ থেকে। জেন্ডার বিবেচনায় শব্দটি পুরুষবাচক।
প্রশ্ন হচ্ছে, কে বা কারা শব্দটি পুরুষবাচক করে তুলেছে? জেন্ডার সমতাই ইন্টারনেটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশ্বের সব অঞ্চলে একটি মৌলিক অধিকারে পরিণত হয়েছে এ যোগাযোগব্যবস্থা। তাই ইন্টারনেটের জেন্ডার নিয়ে কিছুটা হলেও বিব্রত প্রযুক্তিবিদরা।
কেউ কেউ মজা করে বলেছেন, ইন্টারনেট পুরুষবাচক হওয়ায় এর সবকিছু আমাদের বোধগম্য। এর বিপরীতে অনেকে বলেছেন, ইন্টারনেট স্ত্রীবাচক শব্দ। কেননা এটি সবকিছু মনে রাখে। তবে নামকরণের সঙ্গে জেন্ডারবৈষম্য লেগে থাকুক বা না থাকুক, স্প্যানিশ শব্দ ‘এল ইন্টারনেট’ উচ্চারণ বেশ সহজ। সে কারণে এমন নাম নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এর বিপরীত স্ত্রীবাচক শব্দ ‘লা ইন্টারনেট’। উচ্চারণগত কারণেও ইউরোপীয় ভাষার অনেক শব্দের জেন্ডার নির্ধারণ করা হয়।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ফ্রেঞ্চ ভাষায় নেওয়া সব ইংরেজি শব্দই পুংলিঙ্গের। গ্রিক ভাষায় ইন্টারনেটের জেন্ডার ক্লীবলিঙ্গ। পর্তুগিজ ভাষায় ইন্টারনেট শব্দটি স্ত্রীলিঙ্গের।
Add Comment