নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটে সাহসী, সৎ দেশপ্রেমিক নাগরিকের প্রয়োজন। প্রয়াত ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকার মধ্যে এমন গুণাবলি ছিল। তিনি রক্ত ঝরিয়েছেন গণতন্ত্র রক্ষার জন্য, কারাগারে গেছেন গণমানুষের কল্যাণের জন্য।
গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটি আয়োজিত ‘গেরিলা থেকে জননেতা’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নগরীর প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকা ছিলেন একজন সফল ব্যক্তি। তিনি জনমানুষের জন্য আজীবন কাজ করেছেন। দেশের স্বাধীনতা অর্জনে তিনি রেখেছিলেন অসামান্য অবদান। মানব কল্যাণ ও মানব মুক্তিই ছিল তার লক্ষ্য।
তিনি বলেন, দেশের মধ্যে এখন রাজনৈতিক সংকট চলছে। এই সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজন সৎ, সাহসী দেশপ্রেমিকের গুণাবলি, সাদেক হোসেনের মধ্যে তা ছিল। সাদেক হোসেন আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবেন তার কর্মের মাধ্যমে। তাকে আমরা কোনো দলের বলে প্রচার করলে ছোট করা হবে। তিনি কোনো দলের একার ছিলেন না, তিনি দলমত নির্বিশেষে সবার আপনজন ছিলেন। আমার থেকে তিনি ছোট হলেও তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার থেকে আমি অনেক কিছুই শিখি।
সাদেক হোসেন খোকার জ্যেষ্ঠ ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, বাবার কথা বলে শেষ করা যাবে না। তার রাজনৈতিক বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার ছিল। তবে শেষ সময়ে তার দুঃখ ভরা মন ছিল। তিনি দেশে আসতে চাইলেও পারেননি। বার বার দেশের কথা বলেছেন, দেশের মানুষের কথা বলেছেন, দেশে আসতে চেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ইব্রাহিম, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেল, খায়রুল কবির খোকন, শিরিন সুলতানা, ডা. এজেড জাহিদ প্রমুখ।
আলোচনা শেষে সাদেক হোসেন খোকাকে নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। আলোকচিত্রে মুক্তিযুদ্ধ, রাজনৈতিক, পারিবারিক ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের ছবি উঠে এসেছে। চিত্র প্রদর্শনী তিন দিনব্যাপী চলবে।