চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিনিয়োগ নিবন্ধন

অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বিদেশি বিনিয়োগ শূন্য!

সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম: চলমান করোনাভাইরাস সংক্রমণে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম অঞ্চলে এক টাকাও বিদেশি বিনিয়োগ নিবন্ধন হয়নি। অথচ আগের অর্থবছরের একই সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ নিবন্ধন হয়েছিল ১১ কোটি ৬৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। যদিও এ অঞ্চলে মোট স্থানীয় বিনিয়োগ প্রকল্প নিবন্ধন হয়েছে ৩৭টি। এতে সম্ভাব্য বিনিয়োগের পরিমাণ ৬৭৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে দেশি, বিদেশি ও যৌথ অংশীদারিত্বে মোট বিনিয়োগ প্রকল্প ছিল ৫৯টি। এর বিপরীতে মোট ২ হাজার ৬৬২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ নিবন্ধন হয়েছিল।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সূত্র মতে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে  কোনো বিদেশি বিনিয়োগ নিবন্ধন হয়নি। যদিও একই সময়ে আগের অর্থবছরের হয়েছিল ১১ কোটি ৬৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আর এই সময়ে মোট স্থানীয় বিনিয়োগ প্রকল্প নিবন্ধন হয়েছে ৩৭টি। এতে সম্ভাব্য বিনিয়োগের পরিমাণ ৬৭৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। দেশি, বিদেশি ও যৌথ অংশীদারিত্বে মোট বিনিয়োগ প্রকল্প ছিল ৫৯টি। এর বিপরীতে মোট ২ হাজার ৬৬২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ নিবন্ধন হয়েছিল। এর মধ্যে ২৪টি স্থানীয় বিনিয়োগ প্রকল্পের বিপরীতে এক হাজার ৯৬০ কোটি ৯০ লাখ টাকা, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ নিবন্ধনের পরিমাণ ছিল ১১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং যৌথ অংশীদারিত্বে ৬৮৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা।  অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরের চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিনিয়োগ নিবন্ধন কমেছে আগের অর্থবছরের তুলনায় এক হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা; যা ৭৪ শতাংশেরও বেশি।

এ বিষয়ে চট্টগ্রামভিত্তিক একাধিক শিল্প গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেয়ার বিজকে বলেন, চট্টগ্রামের বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই আইনের সুশাসন, বন্দর সুবিধা, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অবকাঠামোগত সুবিধা বাড়াতে হবে। বন্দরের ৪০ হাজার কনটেইনার জমে গেলে বন্দর অচল হয়ে যায়, সেখানে কীভাবে বিনিয়োগ বাড়বে? গত ১০ বছরে বিনিয়োগ উল্টো কমেছে। এবারের বাজেটে লক্ষ্য করলাম বে-টার্মিনাল নির্মাণে বরাদ্দ রাখা হয়নি কিংবা গত পাঁচ বছরের এ প্রকল্পে অগ্রগতিই হয়নি। শুধু শুনেই যাচ্ছি বে-টার্মিনাল নির্মাণ হবে। এছাড়া মিরসরাইয়ে ইকোমিক জোন হচ্ছে। অথচ এ শিল্পজোনের পাশে বন্দর বা টার্মিনাল নির্মাণে কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এখন বেসরকারি শিল্পোদ্যোক্তাদের নিজস্ব অর্থায়নে প্রাইভেট পোর্ট কিংবা জেটি নির্মাণ করার সক্ষমতা আছে। তাদের সেই সুযোগ দিতে হবে। মূল কথা হলো, বিনিয়োগ বাড়াতে হলে অবশ্যই আগে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে কাগজে-কলমে বাণিজ্যক রাজধানী চট্টগ্রামেরই থাকবে। বাস্তবে চট্টগ্রাম হবে না।     

উল্লেখ, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের চট্টগ্রাম অঞ্চলে শিল্প, বাণিজ্য ও ট্রেডিং ব্যবসায় বিনিয়োগ করার জন্য বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ, শতভাগ বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগ নিবন্ধনের পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৯৬২ কোটি টাকা; যা আগের অর্থবছরের ছিল ছয় হাজার ৫২০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কমেছে দুই হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০