শেয়ার বিজ ডেস্ক: আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান আফ্রিকা, এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের ব্যবসায়িক খাত ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ১৫০ জন প্রভাবশালী শীর্ষনেতার একজন হিসেবে হল অব ফেমে জায়গা করে নিয়েছেন। এ তালিকায় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইটিবিএল হোল্ডিংসের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান যুক্ত হলেন। সম্প্রতি হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের (এইচবিএস) বেকার লাইব্রেরির ক্রিয়েটিং ইমার্জিন মার্কেট প্রজেক্টের (সিইএমপি) আওতায় তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এ সাক্ষাৎকার হার্ভার্ড বেকার লাইব্রেরির সংগ্রহে থাকবে। আইসিসি বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মাহবুবুর রহমান তার সাক্ষাৎকারে বলেন তিনি কীভাবে ১৯৬২ সালে চট্টগ্রামে ইস্টার্ন ট্রেডিং কোম্পানি (বর্তমানে ইটিবিএল হোল্ডিংস) গঠনের মাধ্যমে প্রথম ব্যবসা শুরু করেন। প্রাথমিক অবস্থায় তিনি ভোগ্যপণ্য আমদানি ও যেসব বিদেশি কোম্পানি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পণ্য বিক্রি করত, তাদের প্রতিনিধিত্ব করেন। ষাটের দশকের শেষে ইটিবিএল হোল্ডিংস তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় একটি কোম্পানির নারকেল তেলের একক পরিবেশক নিযুক্ত হয়।
মাহবুবুর রহমান তার সাক্ষাৎকারে স্বাধীনতার পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ে ব্যবসার ক্ষেত্রে বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে আলোকপাত করেন। এছাড়াও তিনি আশির দশকের প্রথম দিকে বেসরকারি খাতে ব্যাংক, বিমা কোম্পানি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে যে জোরালো লবিং করতে হয়েছিল; তার উল্লেখ করেন।
মাহবুবুর রহমান দেশের প্রথম ইংরেজি আর্থিক দৈনিক ‘ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস’র পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান। তিনি সংবাদপত্রের প্রকাশনায় প্রবেশের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তার সাক্ষাৎকারে। তিনি দৈনিক ‘ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস’-এর প্রারম্ভিক প্রক্রিয়া, কীভাবে তিনি দৈনিকের মূলধন বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন, কীভাবে দৈনিকটি অন্যান্য পত্র-পত্রিকার চেয়ে শীর্ষে গিয়েছিল এবং কীভাবে এটি দ্বিতীয় শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি ভাষার দৈনিক পত্রিকায় পরিণত হয়েছে এবং লাভজনক হয়েছে তার বিবরণ দিয়েছিলেন।
আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবে মাহবুবুর রহমান দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের সংস্কারে নিজের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। এছাড়া তিনি ২০০৮ সালের আর্থিক সংকট ও এর পরের পরিস্থিতি বাংলাদেশ কীভাবে মোকাবিলা করেছে তারও উল্লেখ করেছেন।