শিবপুরের চিনাদী বিল আগ্রহ বাড়াচ্ছে পর্যটকদের

শরীফ ইকবাল রাসেল, নরসিংদী: ঋতুর পরিক্রমায় এখন শরৎকাল। এমনি এক রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে ডিঙি নৌকায় ভাসছেন আপনি। মৃদু বাতাসের তালে হেলেদুলে চলছে নৌকা, দুপাশে শতশত পদ্মফুল। ফুলের পাপড়ি ছুঁয়ে যাচ্ছে আপনার বাহু, সঙ্গে নাড়া নিচ্ছে হƒদয়কে। একটু দূরেই ছোট নৌকায় বসে বড়শির ছিপ ফেলে নজর রাখছেন কয়েকজন। তার পাশেই চলছে কুনোজাল দিয়ে মাছ ধরা। জেলেদের মধ্যে কেউ কেউ গেয়ে উঠছে ভাটির পুরুষ শাহ আবদুল করিমের সেই অনবদ্য সংগীত, ‘আমি কুলহারা কলঙ্কিনী …’।

এমন দৃশ্যকে বাস্তবে রূপদান করতে হলে ছুটে যেতে হবে শিবপুর উপজেলার পদ্মবিলে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এ বিলকে স্থানীয়ভাবে চিনাদী বিল নামে ডাকা হয়। উপজেলা সদর থেকে আট কিলোমিটার পশ্চিমে দুলালপুর ইউনিয়নের মানিকদী, শিমুলিয়া, দুলালপুর, ভিটি চিনাদী ও দরগারবন্দ এ পাঁচটি গ্রামের মিলনস্থলে অবস্থিত এই বিল।

জানা গেছে, প্রায় ৫৫০ বিঘা আয়তনের স্বচ্ছ পানির এই বিলজুড়ে রয়েছে বক, চিল, মাছরাঙা, পানকৌড়ি, বালিহাঁস প্রভৃতি পাখির বিচরণ। এছাড়া রয়েছে প্রাকৃতিক দৃশ্য ও নীল আকাশের নৈসর্গিক সৌন্দর্য। নয়নাভিরাম এই দৃশ্য উপভোগ করতে প্রতি বছরই ছুটে আসেন নরসিংদী জেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল-সংখ্যক দর্শনার্থী।

তাদের কেউ কেউ ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকায় চড়ে ঘুরে বেড়ান বিলের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে, কেউ কেউ আবার পদ্মফুলের সঙ্গে আলোকচিত্রের খেলায় মেতে ওঠেন। বিলের স্বচ্ছ পানি, পদ্মফুল ও প্রকৃতির সঙ্গে আকাশের মিতালী উপভোগ করতে ছুটির দিন কিংবা যে কোনো অবসরে পরিবার পরিজন অথবা বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন আপনিও।

সড়কপথে রাজধানী ঢাকা থেকে নরসিংদীর দূরত্ব ৫৭ কিলোমিটার। এই বিলে পৌঁছাতে হলে নামতে হবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ইটাখোলা মোড়ে। সেখান থেকে সিএনজি কিংবা অটোরিকশাতে করে পৌঁছাতে হবে কাক্সিক্ষত গন্তব্যে। বিলে ঘোরাঘুরির জন্য ঘাটে পাবেন নৌকা, সেক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টায় গুনতে হবে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০