গরমে আরাম

 

সব শান্তি যেন চারদেয়ালে বন্দি। বাইরে বের হলেই ঘাম, ধুলোবালি, ময়লা। তবু এর মাঝেই তো থাকতে হচ্ছে। পরিস্থিতি বদলাতে হলে শুরু করতে হবে নিজেকে দিয়ে। কেননা সুস্থ থাকার কোনো বিকল্প নেই এ গরমে। গরমে আরাম পেতে কয়েকটি বিষয়ে নজর দিতে পারেন।

এ সময় পানিবাহিত রোগবালাই বাড়ে। যেমন ডায়রিয়া, জন্ডিস, টাইফয়েড জ্বর প্রভৃতি রোগ দেখা দেয় পানির কারণে। সুতরাং বিশুদ্ধ পানি পান করুন। পরিমাণে একটু বেশি পানি পান করতে পারেন। কোমল পানীয়র পরিবর্তে ডাব, শরবত, ফলের রস খেতে পারেন। এর পাশাপাশি খোলা, বাসি, পচা, অপরিষ্কার খাবারদাবার এড়িয়ে চলার অভ্যাস করুন। ভারি খাবার যেমন পোলাও, বিরিয়ানি প্রভৃতির পরিবর্তে বেশি বেশি শাকসবজি খান। অর্থাৎ তেল ও চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করুন। খাবার প্লেট, গ্লাস, জগ, মগ, থালাবাসন প্রভৃতি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।

খাবার ও পানি তো বিশুদ্ধ হলো। এবার নজর দিন দেহের প্রতি। হাত পরিষ্কার রাখুন। শরীর যেন জীবাণুমুক্ত থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। পারলে দিনে দুবার গোসল করুন। অন্তত মাঝে মাঝে চোখে পানির ঝাপটা দিন। বাইরে বের হলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন।

এ সময় আরামদায়ক পোশাক পরা জরুরি। একটু ঢিলেঢালা সুতি কাপড়ের পোশাক রাখুন পছন্দের তালিকায়। রঙচঙা পোশাক না পরে হালকা রঙের পোশাক নির্বাচন করুন। সাদা রঙকে প্রাধান্য দিতে পারেন। খুব বেশি মেকআপ না করলেও পারেন। গরমে কড়া পারফিউম না নেওয়াই ভালো। চুলের যতেœ একটু সময় দিন। চুলের স্টাইলে পরিবর্তন আনতে পারেন। ছোট করে রাখতে পারেন চুল। লম্বা চুলের বেলায় খোঁপা বেঁধে বা বেনি করে রাখা যেতে পারে।

অতিরিক্ত গরমের কারণে হিটস্ট্রোক হয়ে থাকে। শরীরের তাপমাত্রা আচমকা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠে গেলে মস্তিষ্কের তাপনিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র সাময়িকভাবে বিকল হয়ে যেতে পারে। এ কারণে শরীরের তাপ বাইরে বের হতে পারে না। দেহের এ অবস্থাকে হিটস্ট্রোক বলা হয়। এর ফলে মৃত্যুও ঘটতে পারে। তাই উপরের বিষয়টি মেনে চলার পাশাপাশি রোদে বের হলে ছাতা ব্যবহার করুন। অন্তত গামছা বা টুপি দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। বেশি করে তরমুজজাতীয় ফল খান। তবে রাস্তার কাটা ফল কিংবা খোলা খাবার একেবারেই খাবেন না।

 

 

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০