সিনিয়র এএসপি হত্যায় গ্রেফতার ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক: চিকিৎসা নিতে গিয়ে রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমের মৃত্যুর ঘটনা অনুসন্ধান করছে পুলিশ। ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-প্রমাণ মিলেছে। এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত ১৫ আসামীর ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে শ্যামলীতে উপ-পুলিশ কমিশনারের (তেজগাঁও বিভাগ) কার্যালয়ে এএসপি আনিসুল করিম হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান তিনি।

পুলিশ কমিশনার জানান, হাসপাতালের কোন লাইসেন্স ছিলো না। এছাড়া সরকারি হাসপাতাল থেকে বেসরকারি হাসপাতালে পুলিশ কর্মকর্তাকে নেয়ার সাথে দালালসহ সরকারি হাসপাতালের কেউ জড়িত আছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। আটককৃতদের ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ।

সোমবার (০৯ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে হাসপাতালের অ্যাগ্রেসিভ ম্যানেজমেন্ট রুমে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালটিতে ভর্তির কিছুক্ষণ পরেই মারা যান শিপন।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় তারা পুলিশ কর্মকর্তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। রাজধানীর আদাবর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশনস) মো. ফারুক মোল্লা জানান, শিপন সর্বশেষ ট্রাফিকের সিনিয়র এসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

তিনি বলেন, আজ (সোমবার) দুপুর পৌনে ১২টায় তিনি মানসিক সমস্যার কারণে হাসপাতালটিতে যান। ১২টার দিকে সেখানেই মারা যান। দীর্ঘক্ষণ অচেতন থাকা অবস্থায়ও তার ভর্তির কার্যক্রম শুরু করা হয়নি। পরে তাকে হাসপাতালের লোকজন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে নেয়ার আগেই মৃত্যু হয় শিপনের।

সোমবার রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে আনিসুল করিমের প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। সকালে গ্রামের বাড়ী গাজীপুরে দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে সিটি করপোরেশন কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০